খুলনায় নৌকা আর ধানের শীষের ভোট যুদ্ধ চলছে

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটাররা জড়ো হয়েছেন তাদের নবম নগরপিতাকে ভোট দিয়ে নির্বাচনের জন্য। নারী-পুরুষ সবার মধ্যেই এক ধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

এবারের নির্বাচনে ৫ জন মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন এবং ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রথমবারের মতো দলীয় ভিত্তিতে কেসিসির মেয়র পদে নির্বাচন হওয়ায় প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। ভোটকক্ষ ১ হাজার ১৭৮টি। ভোট কেন্দ্র ও ভোট কক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন ৪ হাজার ৯৭২ জন কর্মকর্তা।

এর মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার রয়েছেন ২৮৯ জন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ১ হাজার ৫৬১ জন এবং পোলিং এজেন্ট রয়েছেন ৩ হাজার ১২২ জন।

এ নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৫৬১টি। আর অস্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে ৫৫টি। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) তথ্যমতে, ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৩৪টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ)।

র্যাব-৬ এর পরিচালক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম ও কেএমপির মুখপাত্র সোনালী সেন জানান, নির্বাচনে তিন হাজার ৪৩৭ জন পুলিশ, ১৬ প্লাটুন বিজিবি ও ৩০০ এপিবিএন সদস্য এবং আনসারের চার হাজার ৮৪৫ জন দায়িত্ব পালন করছেন।

এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ৩১টি মোবাইল ফোর্স, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাবের ৩২টি সেক্টর পার্টি, ৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে কাজ শুরু করেছে।