জাবি উপাচার্যের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ছাত্র ইউনিয়নের ক্ষোভ

শাহিনুর রহমান শাহিন, জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় জাবির দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় উপাচার্যের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ৭ দিনেও পূরণ না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখা সংসদের নেতাকর্মীরা।

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি ইমরান নাদিম ও সাধারণ সম্পাদক নজির আমিন চৌধুরী জয় স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দপ্তর সম্পাদক সালমান মাহফুজ প্রেরিত এ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। ঐসময় শিক্ষার্থীদের এসব দাবি মেনে নেয়ার জন্য উপাচার্যকে বললে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সাত দিনের সময় নেন এবং দাবিনামার কাগজে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ার শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আল্টিমেটামের সাত দিন পার হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হলো।

এই সাতদিনে একটি মাত্র স্পিড ব্রেকারের কাজ করা হয়েছে, যেটি কাজও সড়ক অবরোধের দিনে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে শুরু হয়েছিলো। এছাড়া অন্য কোন কাজের কোন নূন্যতম লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

শিক্ষার্থীদের এসব দাবি আল্টিমেটামের সাত দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ। একই সাথে তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।

আন্দোলনরত শির্ক্ষ্থাীদের দাবিসমূহ ছিলো- ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘাতক বাসকে খুঁজে বের করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা ও শাস্তি প্রদান; দুর্ঘটনাস্থলে এম্বুলেন্স যেতে দেরী হওয়ার কারণ বর্ণনা এবং রানা-আরাফাতের লাশ ক্যাম্পাসে কেন আনা হয়নি ও এর সাথে শিক্ষকদের যে নেতিবাচক সংশ্লিষ্টতা উঠেছে প্রশাসনকে এ বিষয়ে জবাবদিহিতা করা; নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা করে প্রদান ও এদের পরিবারের সদস্যদের থেকে যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ^বিদ্যালয়ে চাকুরি প্রদান; তিন দিনের মধ্যে সিএনবি এলাকা থেকে বিশমাইল এলাকা পর্যন্ত নির্দিষ্ট দূরত্বে গতিরোধক (স্পিডব্রেকার) নির্মাণ, অত্র এলাকায় পর্যাপ্ত সিসি টিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা ও পুলিশ বক্স বসানো, সাত দিনের মধ্যে ফুটওভারব্রিজ এর কাজ শুরু করা; ক্যাম্পাসের সামনে দিয়ে গাড়ি চলাচল নির্দিষ্ট গতিসীমার মধ্যে নিয়ন্ত্রিত রাখার ব্যবস্থা করা।

ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এসব দাবি তো মেনে নেয়া হয়নি, উপরন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পুলিশ দিয়ে আটক ও মামলা দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এছাড়া যৌক্তিক কারণ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তির মুখে ফেলে হল ভ্যাকেন্ড ঘোষণা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও হল খুলে দেওয়ারও দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।