ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে পাত্তাই পেল না রাজশাহী কিংস

১৯০ রানের বড় লক্ষ্য। জেতার জন্য যেমন ব্যাটিং দরকার ছিল, শুরু থেকেই তেমনটা পারেনি রাজশাহী কিংস। আসলে ন্যূনতম লড়াইটাও করতে পারেনি মেহেদী হাসান মিরাজের দল। তাদের ৮৩ রানে হারিয়ে এবারের টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করেছে গত আসরের রানারআপ সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস।

রাজশাহী ইনিংসে মোহাম্মদ হাফিজ আর মুমিনুল হক ১৫ বলের উদ্বোধনী জুটিতে তুলেন ২৪ রান। ৫ বলে ৮ রান করে মুমিনুল ফেরেন সাকিবের শিকার হয়ে। সৌম্য সরকারও ৪ রানের বেশি এগুতে পারেননি। আন্দ্রে রাসেলের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের দুর্দান্ত ক্যাচ হন বাঁহাতি এই ওপেনার।

ব্যাটিংয়ের এই ধস আর থামেনি রাজশাহীর। লরি ইভান্স (১০), জাকির হাসান (২), ক্রিশ্চিয়ান জঙ্কার (১), মেহেদী হাসান মিরাজ (১) -দলের চাহিদা মেটাতে পারেননি কেউই। মোহাম্মদ হাফিজ অনেকটা সময় উইকেটে থাকলেও তার ২৮ বলে ২৯ রানের ইনিংসটা একদমই টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না।

১০ ওভার পেরুতেই ৫৯ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে রাজশাহী কিংস। শেষ পর্যন্ত আরাফাত সানির ১৮ আর মোস্তাফিজুর রহমানের অপরাজিত ১১ রানের ইনিংসে কোনোমতে একশ পেরোয় দলটি। ১৮.১ ওভারে রাজশাহীর ইনিংস গুটিয়ে যায় ১০৬ রানে।

৩ ওভার বল করে মাত্র ৭ রান খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন জাতীয় দলের তারকা রুবেল হোসেন। ৪ ওভারে ২৪ রানে ২ উইকেট নেন তরুণ পেসার মোহর শেখ।

এর আগে, হযরতউল্লাহ জাজাই আর শুভাগতহোম চৌধুরীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৯ রান তুলেছিল ঢাকা ডায়নামাইটস।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্তই ছিল ঢাকা ডায়নামাইটসের। দুই ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই আর সুনিল নারিন ১০.৪ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতেই দলকে এনে দেন ১১৬ রান। ২৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৩৮ রান করা নারিনকে ফিরিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন মোহাম্মদ হাফিজ।

পরের ওভারে ভয়ংকর হযরতউল্লাহ জাজাইকে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান রাজশাহী অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪১ বলে ৭৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে জাজাই চারের চেয়ে ছক্কা মেরেছেন বেশি (৪টি বাউন্ডারি, ৭টি ছক্কা)।

এরপর ঢাকা ডায়নামাইটসের মিডল অর্ডার ধ্সে পড়ে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (২), কাইরন পোলার্ড (৩), নুরুল হাসান সোহান (১)-কেউই দাঁড়াতে পারেননি। ফলে ১৩৬ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি।

বিপদ আরও বাড়তে পারতো সাকিবের দলের। আন্দ্রে রাসেল ১০ রানে থাকার সময় মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আকাশে ভাসা সহজ তালুবন্দী করতে পারেননি মুমিনুল হক। ক্যারিবীয় ওপেনার অবশ্য ততটা ভয়ংকর হতে পারেননি। ১৯ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

তবে তার সঙ্গে জুটিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন শুভাগতহোম চৌধুরী। ১৪ বলে হার না মানা ৩৮ রানের এক ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার, যে ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে ছিল ২টি ছক্কার মার।

রাজশাহী কিংসের পক্ষে ৩ ওভারে ২৩ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন আরাফাত সানি। একটি করে উইকেট মেহেদী হাসান মিরাজ, কায়েস আহমেদ আর মোহাম্মদ হাফিজের।