পাকিস্তানের রেকর্ডের চাপে পিষ্ট জিম্বাবুয়ে

রেকর্ড আর রেকর্ড। পাকিস্তান ক্রিকেটের সোনালি এক দিন কাটল আজ। একই দিনে ওয়ানডের উদ্বোধনী জুটির বিশ্বরেকর্ড, দেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান পাওয়া, সেইসঙ্গে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ-পাকিস্তানের জন্য আনন্দের উপলক্ষ্যের যেন শেষ ছিল না! রেকর্ডের ফোয়ারা ছুটানো ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ২৪৪ রানের বড় ব্যবধানেই হারিয়েছে আনপ্রেডিক্টেবলরা। যে জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে সরফরাজ আহমেদের দল।

এদিন উদ্বোধনী জুটিতে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফাখর জামান আর ইমাম-উল-হক। ইমাম ১১৩ রানে ফিরলে ভেঙেছে ৩০৪ রানের ম্যারাথন জুটিটি, ওয়ানডে ইতিহাসে যেটি এখন ওপেনিংয়ের সেরা।

সঙ্গী হারালেও অবশ্য দমে যাননি ফাখর, এমন সুযোগ কি বারবার আসে! নিজের মতো খেলেই দেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে ইতিহাসের পাতায় উঠে গেছেন মাত্র ১৭তম ওয়ানডে খেলতে নামা বাঁহাতি ওপেনার।

ইনিংসের শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ২১০ রানে। ১৫৬ বলের মহাকাব্যিক ইনিংসটি ফাখর সাজিয়েছিলেন ২৫ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায়। শেষদিকে আসিফ আলীর ২২ বলে ৫০ রানে ১ উইকেটেই ৩৯৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। ওয়ানডে ক্রিকেটে যেটি আবার তাদের দলীয় সর্বোচ্চ।

৪০০ রানের প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ৬৭ রানের মধ্যে শীর্ষ ৫ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে লড়াই করার সম্ভাবনাটাও মিলিয়ে গেছে স্বাগতিকদের। ষষ্ঠ উইকেটে এলটন চিগুম্বুরা আর তিরিপানোর ৬৯ রানের জুটিটি পরাজয়ের ব্যবধানটাই যা একটু কমিয়েছে।

৩৭ রান করে চিগুম্বুরা ফেরার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ। তিরিপানো আউট হন ৪৪ রান করে। ৪২.৪ ওভারে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয় ১৫৫ রানে।

পাকিস্তানের পক্ষে ৪টি উইকেট নেন শাদাব খান। ২টি করে উইকেট উসমান খান আর ফাহিম আশরাফের।