পাক-ভারত সেনা সংঘাত: সানিয়া মির্জা কার পক্ষে?

পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে।চির বৈরী দুদেশের সামরিক বাহিনী একে অন্যের উপর আক্রমন করতে তেঁতে আছে।কোনো পক্ষ হামলা করে বসলে আর রেহাই নেই, মুহূর্তেই যুদ্ধ বেধে যাবে।

এই উত্তেজনা শুধু যে দুদেশের কুর্দি পড়া লোকজনের মধ্যে বিরাজ করছে তা কিন্তু নয়।দুদেশের সেলিব্রেটিরাও জড়িয়ে পড়েছেন কথার লড়াইয়ে।ভারতের কয়েকজন ক্রিকেটার এবং শিল্পী তো রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণাই করে দিয়েছেন।কম যাচ্ছেন না পাকিস্তানের সেলিব্রেটিরাও।

বীরেন্দ্রর শেহওয়াগ, গৌতম গম্ভীর, কঙ্গনা থেকে শুরু করে ভারতের বহু তারকা ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলার জন্য পাকিস্তানকে দোষছেন।তবে পাকিস্তানের ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম ভারতকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, পাকিস্তান তোমাদের শত্রু নয়।তিনি দুদেশের প্রতিবেশি দেশের মধ্যে আর রক্তপাত চান বলে মত দিয়েছেন।একই মত পাকিস্তানের অভিনেত্রী মাহিরা খানের। তার মতে যুদ্ধ কামনার মত নির্লজ্জ্তা আর কি হতে পারে? তবে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি পাকিস্তান সেনাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

এমতাবস্থায় ভারতের টেনিস তারকা ও পাকিস্তানের বধূ সানিয়া মির্জার প্রতিক্রিয়া কী? তিনি কি দেশের পক্ষে অবস্থান নেবেন? নাকি শশুর পক্ষে থাকবেন তা নিয়ে তার ভক্তদের মধ্যে আগ্রহের কমতি নেই।

পাক-ভারত যুদ্ধাবস্থা নিয়ে এতদিন মুখ খোলেননি শোয়েব মালিকের স্ত্রী সানিয়া। এবার তিনি নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছেন। তিনি ভারত সেনাদের পক্ষে থাকলেও শান্তির কথা বলেছেন।সানিয়ার ভাষ্য, ‘আমি শান্তির জন্য প্রার্থনা করি যেন হিংসা না বাড়ে।’

১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় হামলার দিনকি তিনি ‘ভারতের কালো দিন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

এই দিনে ভারতীয় জঙ্গি হামলায় ভারতের আধা-সামরিক বাহিনীর ৪৪ সেনা নিহত হয়। নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে সানিয়া টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি সিআরপিএফ সৈন্য ও তাদের পরিবারের পাশে আছি। তারা আমাদের সত্যিকারের হিরো, যারা আমাদের দেশ বাঁচিয়ে রাখে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের জন্য কালো দিন এবং আশা করব, এ রকম দিন আর আসবে না। কোনো সমবেদনাই এর জন্য যথেষ্ট নয়।’

পুলওয়ামায় হামলার দিনটি ভোলা যাবে না উল্লেখ করে সানিয়া মির্জা বলেন, ‘এই দিন কখনো ভোলার নয়, ক্ষমা করারও নয়। তবে শান্তির জন্য প্রার্থনা করি যেন হিংসা না বাড়ে।’

প্রসঙ্গত গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় দেশটির আধাসামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে হামলায় অন্তত ৪৪ সেনা নিহত হন। এ আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ। ভারত এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে বলে দাবি করে আসছে।

এ হামলার জেরে গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। হামলায় ২০০ থেকে ৩০০ জঙ্গি নিহত হন বলে দাবি করেছে দেশটি।

এখানেই থেমে নেই, গত বুধবার পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় দুই যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করেন পাকিস্তান সেনারা। জবাবে ভারত পাকিস্তানের দুটি যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করে।

ঘটনাপ্রবাহে পাকিস্তান বাহিনীর হাতে বন্দি হন দেশটির এক পাইলট। আর পাকিস্তান হারায় একটি যুদ্ধবিমান।