ফিফা র‌্যাংকিংয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

নভেম্বরের ফিফা ফ্রেন্ডলি উইন্ডোতে ম্যাচ খেলার চেষ্টা করেও পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বেশ কয়েকটি দেশকে প্রস্তাব দিলেও সাড়া মেলেনি। বাফুফে এখন তাকিয়ে আগামী বছর মার্চের পরবর্তী উইন্ডোতে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা ছিল ফিফা র‌্যাংকিংয়ের হতশ্রী চেহারাটা দূর করা।

নভেম্বরে ম্যাচ না খেললেও ফিফা র‌্যাংকিংয়ে একটু ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। বৃহস্পতিবার ঘোষিত র‌্যাংকিংয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৪ থেকে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা এখন ১৯২-এ।

এ র‌্যাংকিং বাংলাদেশের ২০১৮ সালের মধ্যে সেরা। বছর শুরু হয়েছিল ১৯৭ তে নেমে। টানা ৫ মাস এ অবস্থানে থাকার পর একটাই শঙ্কাই তৈরি হয়েছিল যে কোনো মাসে বাংলাদেশ ছুঁয়ে ফেলতে পারে ২০০। তবে গত জুনে ১৯৭ থেকে তিন ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ ওঠে ১৯৪ তে। গত অক্টোবরে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৯৪, নভেম্বরে ১৯২। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের সেরা সময় ছিল ১৯৯৩ সাল। ১১৬ তে উঠেছিল ওই বছর আগস্টে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পেছনে কেবল পাকিস্তান (১৯৯) ও শ্রীলংকা (২০১)। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪২। পাকিস্তান ও শ্রীলংকা ছাড়া পেছনে আছে ব্রুনাই (১৯৫) ও পূর্ব তিমুর (১৯৬)। এশিয়ার শীর্ষে যথারীতি ইরান। তাদের ফিফা র‌্যাংকিং ২৯।

তবে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানগুলোতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। শীর্ষেই রয়েছে বেলজিয়াম। তাদের রেটিং পয়েন্ট কিছুটা কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে বিশ্বজয়ী ফ্রান্স। তিন নম্বরে ব্রাজিল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল এবং লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা এক ধাপ করে এগিয়েছে।

৭ থেকে ৬-এ এসেছে পর্তুগাল। ৬ থেকে ৭-এ নেমেছে উরুগুয়ে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা ১২ থেকে উঠেছে ১১ তম স্থানে। পেছনে ফেলেছে কলম্বিয়াকে। যদিও দুই দেশের দুই সেরা তারকা মেসি এবং রোনালদো জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন না রাশিয়া বিশ্বকাপের পর থেকে।