বেরোবি রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে নীল দলের অভিযোগপত্র প্রদান

এইচ. এম নুর আলম, বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববদ্যিালয়ের (বেরোবি) রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর-এর অপসারণ চেয়ে উপাচার্য ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বরাবর অভিযোগপত্র দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।

বুধবার নীল দলের সভাপতি ড. শফিক আশরাফ ও সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) আমিনুর রহমানের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর পাঠানো হয়।

পত্রে অভিযোগ করা হয়, আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শফিক আশরাফ রেজিস্টারের সাথে দেখা করতে গেলে রেজিস্ট্রার অসাচারণ করেন। পরে এ নিয়ে শফিক আশরাফ উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। রেজিস্টার ইব্রাহীম কবীর যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময় বিশ্ববদ্যিালয়ের শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণ করে আসছেন। শিক্ষকরা এমন কর্মকান্ডের প্রতিবাদে বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করলেও তিনি তার অশোভন আচরণ অব্যাহত রেখেছেন। স্মারকলিপিতে আরও অভিযোগ করা হয়, উপাচার্য কর্তৃক যথাযথ প্রক্রিয়ায় অনুমোদনের পরও বিভিন্ন দাপ্তরিক চিঠি ইস্যুতে বিলম্ব করে তিনি নানাবিধ সঙ্কট সৃষ্টির অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন।

শিক্ষকগণের ছুটি, এনওসি, প্রত্যায়নপত্র ও অভিজ্ঞতার সনদসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করেন তিনি। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রিপুল কবিরের আপগ্রেডেশন বোর্ড এর ভাইভা কার্ড প্রদানে উপাচার্য কর্তৃক নির্দেশ দেওয়া থাকলেও সঠিক সময়ে প্রার্থীর নিকট না পৌছানো তারই অংশ। যা গতকালের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির হুমকির পর অফিস সময়ের বাইতে রাত সাড়ে সাতটায় প্রদান করা হয়।

বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে বসবাস করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন রিকুইজেশন ছাড়াই ব্যক্তিগত কাজে যত্র-তত্র ব্যবহার করেন। এভাবে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরিবহন ব্যবহার করায় রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় হচ্ছে। তার চুক্তিভিত্তিক চাকরির ১১টি শর্তের কোথাও সার্বক্ষণিক গাড়ি ব্যবহারের কোন কথাই উল্লেখ নেই ।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক থাকাকীল বেরোবির আইনের তোয়াক্কা না করে একক সিদ্ধান্তে প্রভাষক পদ থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জনের তারিখ থেকে প্রদেয় সুবিধা নিয়মসিদ্ধ নয় উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে তার সেই চিঠির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় গভীর সঙ্কটে পড়েছিল বলেও স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে রাত সাড়ে সাতটার দিকে রেজিস্টার ইব্রাহীম কবিরের মোবাইলে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।