রাবির কোটা আন্দোলনের নেতা আহত তারেককে ঢাকা আনা হচ্ছে

ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম তারেককে ঢাকায় নেয়া হচ্ছে।

রোববার সকাল ১০টায় রাজশাহীর বেসরকারি রয়্যাল হাসপাতাল থেকে তারেককে নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফরম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মাসুদ মুন্নাফ যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তারেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হচ্ছে।

ঢাকার কোন হাসপাতাল তারেককে ভর্তি করা হবে জানতে চাইলে মাসুদ মুন্নাফ বলেন, ঢাকায় পৌঁছার পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

গত ২ জুলাই বিকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা রাবির প্রধান ফটকের সামনে পতাকা মিছিল বের করলে সেখানে হামলা চালায় ছাত্রলীগ।

তারা রামদা, হাতুড়ি, লোহার পাইপ, বাঁশ ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায় তারেককে। এতে তার ডান পা ও মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়।

পরে তারেককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কিন্তু সুস্থ হওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার বিকালে তারেককে ছাড়পত্র দিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর পর তাকে নগরীর রয়্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই হাসপাতালে তারেকের চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে থাকা চিকিৎসক ডা. সাঈদ আহমেদ শনিবার বলেছিলেন, ‘তারেকের ডান পা মারাত্মকভাবে ভেঙেছে। তার পিঠের এক্স-রে করিয়েছি আমরা। কোমরের ঠিক উপরে মেরুদণ্ডের হাড় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ভেঙে গেছে বলা যায়।

তিনি বলেন, ভারী কিছুর আঘাতে এমনটি হয়েছে। অপারেশন করার প্রয়োজন হবে কিনা সেটি রিপোর্ট হাতে এলে জানা যাবে। তবে দীর্ঘসময় তাকে চিকিৎসা নিতে হবে।

এর পর শনিবার রাতে এক্স-রেসহ বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তারেককে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন ডা. সাঈদ আহমেদ।

তিনি বলেন, তারেকের পায়ের হাড়ের অ্যালাইনমেন্ট ঠিক নেই। এলোমেলো আছে। অস্ত্রোপচার হচ্ছে শেষ অপশন।

সাঈদ আহমেদ বলেন, তারেকের মাথায় ও কোমরে আঘাত আছে। এক্স-রেতে সেটি পরিষ্কার আসছে না। তাই সিটিস্ক্যান ও এমআরআই করতে বলা হয়েছে। রোগীর লোকজন ভালো চিকিৎসা চাচ্ছেন, সে জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।