আজাদ, নিক্সন ও দোলন পেলেন ঈগল

ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী পদে আলোচিত তিন প্রার্থী একই প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ কে আজাদ, ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন, সদরপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এবং ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালী) আসনে বিশিষ্ট সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন ঈগল প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। তারা তিনজনই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চেয়েও বঞ্চিত হন।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদার এই প্রতীক বরাদ্দ দেন।

এ কে আজাদ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি। তিনি বিশিষ্ট শিল্প পরিবার হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই আসনে শামীম হককে মনোনয়ন দিয়েছিল। তবে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে তিনি প্রার্থিতা হারান। উচ্চ আদালতে গিয়েও খোলেনি তার ভাগ্য। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী না থাকায় এই আসনে এ কে আজাদের সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে জানা গেছে।

ফরিদপুর-৪ আসনের গত দুইবারের সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী এবার নৌকার মনোনয়ন চাইলেও বঞ্চিত হন। আওয়ামী লীগ বেছে নিয়েছে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্লাহকে। যদিও গত দুই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান কাজী জাফর উল্লাহ। এবারও এই দুজনের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

ফরিদপুর-১ আসনে এবার নৌকার মনোনয়ন চেয়েও বঞ্চিত হন ঢাকা টাইমসের সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন। পরে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। এছাড়া নবগঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাবেক নেতা শাহ মো. আবু জাফরও এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই তিন প্রার্থীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।