ভরা মৌসুমেও যশোরের রাজগঞ্জে সবজির দাম বেশি, চরম সংকটে অল্প আয়ের মানুষ

হেলাল উদ্দিন, মনিরামপুর : ভরা মৌসুমে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে কাঁচা সবজির দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে শীতকালীন সবজির ব্যাপক আমদানি হলেও দাম কম নেই। ক্রেতারা সবজি কিনতে যেয়ে দাম শুনেই পিছিয়ে আসছেন। বিক্রেতারা বলছেন বেশি দামে কেনা। কি করবো। বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে সাধারণ ক্রেতারা একথা মানতে নারাজ। তারা বলছেন বিক্রেতা সিন্ডিকেট করে সবজির দাম বেশি নেচ্ছে। শীতকালীন সবজির পাশাপাশি আলু, পেঁয়াজ, রসুনের দামও অনেক বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে- শীতকালীন প্রধান প্রধান সবজির দাম সময় হিসেবে অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে। যেমন- বেগুন ৬৫ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, টমেটা ৬০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, মেটে আলু ৫০/৫৫ টাকা, ডাটা ২০ টাকা, বাধাকপি ২০/২৫ টাকা, মেচুড়ি ৬০ টাকা প্রতিকেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমের মধ্যে আছে পালং শাক ৫ টাকা আটি, মুলা ১০ টাকা প্রতিকেজি। এদিকে বাজারে নতুন আলু ৬০ টাকা, নতুন পেঁয়াজ ১২০ টাকা, পুরাতন রসুন ২৫০ টাকা প্রতিকেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শহিদুল ইসলাম (৪৫) নামের একজন ক্রেতারা বলেন- শীতের সময় কাঁচা সবজির ভরপুর আমদানি থাকে বাজারে। এসময় সবজির দামও অনেক কম থাকে। শীতকালে সবজির দাম কম থাকার কারণে, বেশি বেশি সবজি খেতে চাই। কিন্তু এ বছর বাজারে সবজির দাম অনেক বেশি। তাই চাহিদা মতো কিনতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন- বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। কিন্তু শ্রমের দাম বেশি হচ্ছে না। চাকরিজীবিদের বেতন বেড়েছে। কিন্তু আমাদের মতো শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষের মুজুরী বাড়েনি। যে কারণে বাজারে গিয়ে উচ্চমূল্যের জিনিসপত্র কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। চাহিদা মতো কিনতে পারছি না। সন্তানদের মুখে ভালো মানের কোনো খাবার তুলে দিতে পারছি না। সবমিলিয়ে শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষ অল্প আয়ের মানুষ ভালো নেই। নানা সংকটে রয়েছে তারা। এক কথায় বলতে গেলে- নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে।

জানা গেছে- সরকারের বাজার মনিটরিং টিম মাঝে মধ্যে বাজারে অভিযান দিয়ে যায়। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়না। মনিটরিং টিম চলে গেলেই পূর্বের চেহারায় ফিরে যায় ব্যবসায়ীরা। ফলে চরম ঠকা ঠকে সাধারণ ভোক্তারা।