ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করল যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বকাপে তৃতীয় দেখা। এর আগের দুই দেখায় ইংল্যান্ডের কাছে হারেনি যুক্তরাষ্ট্র। এবারও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখল মার্কিনিরা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর গোলশূন্যভাবে শেষ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-ইংল্যান্ড ম্যাচ।

এর আগে ১৯৫০ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইংলিশরা। এরপর ২০১০ সালের বিশ্বকাপের সর্বশেষ দেখায় ১-১ গোলে ড্র করে দুই দল। তবে সব মিলিয়ে ১১ ম্যাচের ৮টিতে জিতেছে ইংল্যান্ড। আর ইংলিশদের সর্বশেষ হার ১৯৯৩ সালে, ২ -০ গোলের ব্যবধানে।
কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ইরানের বিপক্ষে ৬-২ গোলের জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে ওয়েলসের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ ম্যাচ জিতলে নকআউট পর্ব নিশ্চিত হতো ইংলিশদের; কিন্তু এদিন ভিন্ন এক যুক্তরাষ্ট্রকে দেখে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।

যদিও ম্যাচের প্রথম আক্রমণ করে ইংলিশরাই। ১০ মিনিটে কাইরান ট্রিপিয়ারের অ্যাসিস্ট থেকে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও বাইরে মারেন জন স্টোনস। পরের মিনিটে ব্যর্থ হয় মেসন মাউন্টের প্রচেষ্টা।

১৭ মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় যুক্তরাষ্ট্র। হাজি রাইটের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর ১০ মিনিট পর যুক্তরাষ্ট্রের হাজি রাইটের বাড়ানো ক্রসে ওয়েস্টন ম্যাককেনিয়ের শট চলে যায় গোলপোস্টের সামান্য উপর দিয়ে।

২৯ মিনিটে মুসার জোরালো শট ইংলিশ ডিফেন্ডার রাইসের মাথায় লেগে বাইরে চলে যায়। ৩৩ মিনিটে ইংল্যান্ডকে রক্ষা করে গোলপোস্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের দুর্দান্ত শট ফিরে আসে গোলপোস্টে লেগে।
দ্বিতীয়ার্ধেও ইংল্যান্ডকে চেপে ধরেছিল গ্রেগ বেলহারটেরের শিষ্যরা। ৪৯ মিনিটে ডি-বক্সের বাঁ দিক থেকে হাজি রাইটের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এর নয় মিনিট পর পুলিসিচের শট রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক।

৮৭ মিনিটে বাঁদিক থেকে বদলি হিসেবে খেলতে নামা মার্কোস রাশফোর্ড পোস্টে শট নিলেও তা রুখতে কোনো বেগ পেতে হয়নি মার্কিন গোলরক্ষককে। ফলে গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দুদলকে।

গ্রুপ বি-তে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ইংল্যান্ড। ম্যাচে এক জয় এবং এক ড্রতে ইংলিশদের পয়েন্ট ৪। ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে ইরান। আর দুই ড্রয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র এবং ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে রয়েছে ওয়েলস।
আগামী ২৯ নভেম্বর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইরানকে হারাতে পারলেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের।