এক নারীর দুই স্বামী!

ঢাকার ধামরাইয়ে এক নারী সমানতালে দুই স্বামীর সংসার করছেন।

সামাজিক চাপের মুখে পরকীয়া প্রেমিক বিয়ের কাবিননামা উপস্থাপন করে বিয়ের প্রমাণ দিয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া জালসা গ্রামে।

ওই গৃহবধূ ও পরকীয়া প্রেমিককে একঘরে করে রাখার প্রস্তাব করেছেন গ্রামবাসী।

ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

এলাকাবাসী জানান, ২৫ বছর আগে ওই গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী মো. ফেরদৌস আহম্মেদের সঙ্গে রাশেদা আক্তারের কাবিন রেজিস্ট্রিমূলে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক কন্যা ও এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। পুত্র অটোরিকশা চালায়।

একপর্যায়ে একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফার সঙ্গে রাশেদা আক্তার পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এরমধ্যে ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জে কোর্ট ম্যারেজ রেজিস্ট্রার অফিসে গোলাম মোস্তফার সঙ্গে বাকপ্রতিবন্ধীর স্ত্রী রাশেদা আক্তারের কাবিন রেজিস্ট্রিমূলে বিয়ে হয়।
তবে ওই প্রতিবন্ধীকে তালাক প্রদান না করেই এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।

শুধু তাই নয়, বিয়ের পরও ওই নারী ওই প্রথম স্বামীর বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। মাঝেমধ্যে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে গোপন অভিসারে মিলিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তোলার জন্য ওই গৃহবধূ চাপ দিলে দ্বিতীয় স্বামী তাকে বাড়িতে তুলতে নানাভাবে গড়িমসি করতে থাকেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই গৃহবধূ গত বুধবার স্ত্রীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্বিতীয় স্বামী গোলাম মোস্তফার বাড়িতে গিয়ে উঠেন এবং অনশন শুরু করেন। এরপর দ্বিতীয় স্বামী বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে সমাজের লোকজন এ ব্যাপারে শুক্রবার ব্যাভিচারের অভিযোগ তোলেন।

পরে বাধ্য হয়ে ওই গৃহবধূর ছেলে সমাজের লোকজন ও সাংবাদিকদের কাছে বিয়ের কাবিননামা উপস্থাপন করেন। এতে বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করে।

এ ব্যাপারে দ্বিতীয় স্বামী গোলাম মোস্তফার চাচাতো ভাই মোহাম্মদ সোলাইমান হোসেন সোলাই বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম পরকীয়ায় সীমাবদ্ধ। এখন দেখছি কাবিন রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়েছে। বিষয়টি খুবই জটিল আকার ধারণ করেছে।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমান সরকার বলেন, অনেক দিন ধরেই এদের মধ্যে পরকীয়ার গুঞ্জন চলে আসছিল। এবার ওই গৃহবধূর দুই স্বামী থাকার ঘটনা ফাঁস হয়েছে। সমাজের চাপে ওই গৃহবধূর ছেলে কাবিন রেজিস্ট্রি প্রদর্শন করেছে।

এ ব্যাপারে এসআই মো. আরাফাত হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।