ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের আগামী ২ ফেব্রুয়ারি গণভবনে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জোটের স্টিয়ারিং কমিটির সব সদস্যের কাছে আলাদা আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ইউএনবিকে জানান, কুশল বিনিময় করার জন্য আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টায় গণভবনে চায়ের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে আমন্ত্রণপত্রে। সকালে তাঁদের দলীয় কার্যালয়ে পাঠানো আমন্ত্রণপত্র তাঁরা পেয়েছেন।

গণফোরামের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দুজন কর্মকর্তা বেলা ১১টার দিকে তাঁদের দলীয় কার্যালয়ে আসেন এবং ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সব সদস্যের জন্য আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন। আমন্ত্রণ পেয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমদ, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

এর আগে গত বছরের ১ ও ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দুই দফা গণভবনে সংলাপ করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। তবে সেই সংলাপে সমাধান পায়নি ঐক্যফ্রন্ট।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতকালকে দেওয়া ভাষণে জাতীয় ঐক্যের আহ্বানকে কথার কথা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যখন কথা হলো, তখন তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) যে কথাগুলো দিয়েছিলেন, সে কথাগুলো তিনি রাখতে পেরেছেন? একটাও রাখতে পারেননি। অর্থাৎ রাখেননি। তিনি বলেছিলেন যে, কোনো গ্রেপ্তার হবে না, নতুন কোনো মামলা হবে না। একটাও তারা রাখেননি এবং নির্বাচনের জন্য একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে। কিছুই করা হয়নি। একইভাবে আজকে যে কথাগুলো উনি বলছেন, এটা তো একটা শুধু কথার কথা।’

বিএনপি ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করেছে, তাই শপথ নেওয়া বা সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে বিএনপি সাড়া দেবে না বলেও জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।