কক্সবাজার মুখোরিত পর্যটকে, আবাসিক হোটেলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

প্রায় পাঁচ দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত। হোটেল কর্তৃপক্ষ এক রাতের জন্য একটি কক্ষের ভাড়া হিসাবে সাড়ে ৮ হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটক সমাগমকে পুঁজি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং মূল্য তালিকা সংরক্ষণ বা না রাখার অভিযোগে এক আবাসিক হোটেল কর্তৃপক্ষকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট সংলগ্ন আবাসিক হোটেল ‘অভিসার’ কর্তৃপক্ষকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় এই অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

মাসুম বলেন, “দুর্গা পূজা ও ঈদে মিলাদুন্নবীসহ টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। আর এই বিপুল সংখ্যক পর্যটক সমাগমকে পুঁজি করে কয়েকটি হোটেল-মোটেলের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং মূল্য তালিকা সংরক্ষিত স্থানে প্রদর্শন না করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার মধ্যরাতে প্রশাসনের একটি দল হোটেল অভিসারে অভিযান চালালে অভিযোগের সত্যতা পায়।”

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার বেড়াতে আসা তৌহিদুল ইসলাম নামের এক পর্যটক বলেন, “তিন বন্ধু মিলে এক রাত যাপনের জন্য সাগর পাড়ের হোটেল অভিসারের কক্ষ ভাড়া নিতে যান। এ সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে এক রাতের জন্য একটি কক্ষের ভাড়া হিসাবে সাড়ে ৮ হাজার টাকা দাবি করেন।

“এছাড়া তারা এক রাতের জন্য হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নিতে চাইলে কর্তৃপক্ষ জানায়, ন্যূনতম দুই রাতের জন্য নিতে হবে; অন্যথায় কক্ষ ভাড়া দেওয়া সম্ভব হবে না।”

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম আরও বলেন, “ভবিষ্যতে পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা এবং সেবার মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে রাখার জন্য হোটেল অভিসার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পর্যটক হয়রানি রোধে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।