কক্সবাজার-১ আসনে নিরাপত্তা চেয়ে সিইসি’র কাছে ১৫ জনপ্রতিনিধির আবেদন

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি ও নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আবেদন করেছেন চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ১৫ জনপ্রতিনিধি।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে আবেদনটি পৌঁছে দেন তারা।

আবেদনে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, সুরাজপুর মানিকপুর ইউপির চেয়ারম্যান আজিমুল হক, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরীসহ ১৫ জন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি স্বাক্ষর করেন৷

আবেদন বলা হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন সম্পন্ন করা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। একই সাথে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে একটি নিরপেক্ষ অবাধ,সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা সেই লক্ষ্যে নিজ নিজ এলাকায় আমাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচনী কাজ করে যাচ্ছি। একই সাথে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভেটারকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। যা পরোক্ষভাবে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশের সহায়ক।

যেখানে আরও বলা হয়, বর্তমান সংসদ জাফর আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক গাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তার পক্ষে কাজ না করায় এবং বিপক্ষের হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করায় তিনি নিজে এবং তার গঠিত নিজস্ব অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী দ্বারা অবৈধ অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে গুম ও হত্যার হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তার উশৃংখল কর্মী বাহিনী দ্বারা হাত ঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী পোষ্টার, ব্যানার, লিফলেট ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকি ব্যানার, পোষ্টার, ফেস্টুন লাগাতেও বাধা প্রদান করা হচ্ছে। যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহান সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন। এ ধরনের হুমকি প্রদর্শন, চাপ প্রয়োগ এবং নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিড়ে ফেলা ও লাগাতে বাধা প্রদানের মত অপতৎপরতা একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায় এবং আমরা জনপ্রতিনিধিগণও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ অবস্থায় চলমান ভীতিকর পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনের সংশয় দূর করতে কক্সবাজার-১ আসনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিধান ও হয়রানিরোধে উল্লেখিত অভিযোগ যাচাই স্বাপেক্ষে পরবর্তী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

এদিকে চকরিয়ার একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জাফর আলমের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে মুখ খুলেছেন স্থানীয় ১৫ জনপ্রতিনিধি।

কক্সবাজার-১ আসনে হাত ঘড়ি প্রতীকের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের পক্ষে নির্বাচন কমিশনে দায়ের করা অভিযোগ মিথ্যা বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন চকরিয়া এবং পেকুয়ার জনপ্রতিনিধিরা।

চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুরাজপুর মানিকপুর ইউপির চেয়ারম্যান আজিমুল হকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও চকরিয়া পৌরসভার মেয়ার আলমগীর চৌধুরী৷

এছাড়াও কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য আবু তৈয়ব, পেকুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু, মগনামার চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুস, বিএমচরের এসএম জাহাঙ্গীর আলম, রাজাখালীর নজরুল ইসলাম বাবুল, বদরখালীর নুরে হোছাইন আরিফ, লক্ষ্যারচরের আওরাঙ্গজেব বুলেট, কাকারার শাহাব উদ্দিন, বমু বিলছড়ি মনজুরুল কাদের, ঢেমুশিয়ার মঈনুদ্দিন চৌধুরী, উজানটিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, চিরিংগার সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন প্রমুখ জনপ্রতিনিধি।