কলারোয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবার

দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বাবু: সারাবছর অভাব যাদের নিত্য সঙ্গি তাদের আবার ভালো থাকা? ভালো থাকার মিথ্যা নাটক চলছে মধ্যবিত্ত ও নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে। ২/৫ শত টাকা মজুরির টাকায় সংসার তো দুরের কথা ছেলে মেয়েদের বায়না মেটাতেই শেষ। কিভাবে যে তাদের পরিবার চলছে সেটি শুধু ঐ পরিবারের কর্তাই বলতে পারবে।

গ্রামের মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্ত এমন কোন পরিবার নেই যে তাদের সমিতি নেই। পরিবার চালাতে ও ধার দেনা মেটাতে বাধ্য হয়ে চড়া সুদে নানা সমিতি থেকে টাকা নিতে বাধ্য হচ্ছে। এতে সংসার ও দেনার দায় হয়তো কিছুটা লাঘব হচ্ছে কিন্তু হাহাকার থেকেই যাচ্ছে?

স্ত্রী, সন্তান, বৃদ্ধ পিতা মাতা দের নিত্য চাহিদা পুরণ করতে দিশেহারা সংসারের কর্তা।

শুধু সংসারের একটি হিসাব ধরাযাক, নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার সওদা। চাল ৫০/৭০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা এমন প্রতিটি জিনিসের মূল্য আকাশ ছোঁয়া। এছাড়াও পরিবারের হাজার রকমের চাহিদা তো রয়েছে।

কলারোয়ার জয়নগরের বাসিন্দা তারক চক্রবর্ত্তী জানিয়েছেন, ৪ সদস্যোর সংসার বৃদ্ধ পিতা, স্ত্রী ও দুই সন্তানের সংসার চালাতে দিশেহারা। সন্তানদের পড়ালেখার খরচ, বৃদ্ধ পিতার ঔষধ ও স্ত্রী চাহিদা মিটিয়ে নিজে কথা ভাবার সময় তিনি পান না। মুদি দোকান ও পুরোহিত্য করেই চলে তার সংসার কিন্তু দ্রব্যমূল্যোর বাড় বাড়ন্তে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন তিনি।

জয়নগরের আরেক চায়ের দোকানি আরিজুল গাজী জানিয়েছেন, প্রতিদিন তিনি ৩/ ৪ শত টাকা ইনকামে কোন রকমে চলছে সংসার তার মধ্যো সপ্তাহে ২/৩ টি সমিতির কিস্তি দিয়ে সংসার চালাতে বেসামাল হয়ে পড়ছেন তিনি। দ্রব্য মূল্য উর্ধমুখি থাকলে নিন্ম আয়ের পরিবার গুলো দেনার দায়ে পথভ্রষ্ট হতে পারে।

এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রানের উপায় খুঁজতে পরিবারের কর্তারা তাই দিনরাত এককরে ছুটছে টাকা ইনকামের ধান্দায়। পরিবারে নিজের একটু জায়গা করে নিতে।