কলারোয়া সরকারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী জাঁকজমক মিলনমেলায় রূপ দিতে মতবিনিময়

আগামি ১৩ এপ্রিল জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারি কলেজের ৫০ বছরপূর্তিতে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হবে। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মহা মিলনমেলার অনুষ্ঠিতব্য ওই অনুষ্ঠানের ঐতিহাসিক ও অনন্য করার লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় জানানো হয়- দিনব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তীর ওই অনুষ্ঠানে পরস্পরের সাথে মিলন মেলায় মিলিত হওয়ার পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মাঝে টি-শার্ট, ক্যাপ, ব্যাগ, মগ, সুভিনিউরসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হতে পারে। নাস্তার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। সকাল থেকে নানান অনুষ্ঠানমালার আয়োজনে মুখর থাকবে সরকারি কলেজের অনুষ্ঠান চত্বর। সন্ধ্যায় সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশে-বিদেশি নামকরা শিল্পীরা অংশ নিতে পারেন। এছাড়াও অন্যান্য ব্যতিক্রমধর্মী ও উৎসবমুখর আয়োজন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে আয়োজক কমিটি। যেটা দেশের যেকোন প্রথম শ্রেণীর অনুষ্ঠানের সমতুল্য হিসেবে পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এজন্য অনলাইন ও অফলাইন রেজিস্ট্রেশন চলছে। আগামি ১৫ ফেব্রুয়ারী রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের শেষ তারিখ। সুতরাং দেশে-বিদেশে যে যেখানে, যে অবস্থায় আছেন, কলারোয়া সরকারি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য আহবান জানানো হয়।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কলারোয়া সরকারি কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে শিক্ষকদের সাথে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়৷

কলারোয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর এসএম আনোয়ারুজ্জামানের সভাপতিত্বে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনার পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও ব্র্যাক ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আছাদুজ্জামান চান্দু।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন কলারোয়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.আবু নসর, অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ, অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর মো. নজরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর আবু বক্কর সিদ্দীক।

এছাড়াও উপস্থিত থেকে মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন মো. বাবলু, শিক্ষক ও সাংবাদিক দীপক শেঠ, কাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ এসএম শহিদুল আলম, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতা মোস্তফা বাকী বিল্লাহ শাহী, শেখ আমানুল্লাহ কলেজের উপাধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম, ৯৭ ব্যাচের মোস্তাফিজুর রহমান, ৮৯ ব্যাচের আবু সাঈদ, ৯১ ব্যাচের প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান বিপ্লব, সাংবাদিক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, সাবেক ভিপি রফিকুল ইসলাম, জাকির মাহমুদ, উজ্জ্বল কুমার, শাহ আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠান যৌথভাবে পরিচালনা করেন শিক্ষক শেখ শাহাজাহান আলী শাহিন ও ডা. মো. হাবিবুর রহমান।

সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কাজী আছাদুজ্জামান, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম, সিজিএম আসাদুজ্জামান মিলন, মো. আজহারুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামাম আসাদ প্রমুখ প্রাক্তন শিক্ষার্থী এই মতবিনিময় সভায় ঢাকা থেকে এসে অংশ নেন।