কুড়িগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছাত্রীর মৃত্যু, পরিবারের দাবী হত্যা

কুড়িগ্রামে প্রেমিকের আঘাতে প্রেমিকার মৃত্যু হয়েছে দাবী করে থানায় মামলা হয়েছে। কৌশলে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে অটোরিক্সা থেকে ফেলে দিয়ে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় বলে দাবি পরিবারের।

মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টার সময় কুড়িগ্রামের টগরাইহাটে পলাশবাড়ী পাঠানপাড়া এলাকার তৈয়ব আলীর পলিটেকনিক পড়ুয়া মেয়েকে একই এলাকার পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে বেড়াতে নিয়ে যায় সোহাগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে সোহাগ তুলিকে মারপিট করে এবং ব্যাটারীচালিত অটো রিক্সা থেকে টেনে পাঁকা রাস্তায় ফেলে দেয়। এতে মাথায় মারাত্মক ভাবে আঘাত পায় তুলি।
এ অবস্থায় তাকে চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তাররা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে ১ সপ্তাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ অক্টোবর তুলির মৃত্যু হয়।

তুলির পিতা বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় গত ০৩.১০.২০২১ ইং তারিখে একটি হত্যাচেষ্টা এবং তুলিকে শারিরিকভাবে লাহ্নিত করা সহ তার কাছ থেকে টাকা ও গহনা কেড়ে নেয়া বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০২/৩,১০,২০২১।

তৈয়ব আলী জানান, ‘আমার মেয়েকে যে এভাবে জীবনের মূল্য দিতে হবে কল্পনাও করতে পারি নাই। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোহাগ আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।’

তার মা জানান, ‘আমার মেয়ে আর কিছুদিন গেলে টেকনোলজি বিষয়ে পাশ করতো। তার সে স্বপ্ন মুছে দিল। আমি হত্যাকারীর বিচার চাই।’

এলাকাবাসী জানায় দুই পরিবারের মাঝে শত্রুতা থাকলেও তানিয়া তুলি আর সোহাগের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আর এ প্রেমের কারনেই মেধাবী তানিয়ার মৃত্যু হলো। তারা তানিয়ার হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছে।