কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ছেড়ে যে কারণে এক কৃষ্ণাঙ্গের প্রেমে মজেছেন এই সুন্দরী

প্রেমের জন্য বা ভালোবাসার মানুষের জন্য ধনী পিতার সবকিছু ত্যাগ করে প্রেমিকের হাত ধরে চলে যাওয়ার নজির কম নয়। আর এমন কাহিনী নিয়ে রুপালি পর্দায় দর্শকরা এমন দৃশ্য প্রায় দেখে থাকে। তবে বাস্তব ভালবাসার অর্থ কিন্তু এতো সহজ নয়। প্রেমের এমন সাময়িক আবেগ কেটে গেলে অনেক দুর্ভোগ নেমে আসে।

জীবদ্দশায় প্রেমের ফাঁদে একবার না একবার প্রায় সকলেই পড়ে থাকেন। অনেকে আবার একাধিকবার পড়েন। কিন্তু ভালবাসার টানে সবকিছু ছাড়তে ক’জন পারেন? পারেন। খুব বেশি সংখ্যক না হলেও অ্যাঞ্জেলিন ফ্রান্সিস খুয়েরের মতো সেই বিরল শ্রেণির প্রতিনিধি। এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে ভালবেসে বাবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকার হেলায় ছেড়ে দিয়েছেন ৩৪ বছরের এই মহিলা। যিনি নারী এই সম্পত্তির মোহ ছেড়েছেন তিনিও হেলাফেলার মতো কোনো নারী নন। উচ্চ শিক্ষিত ও সুন্দরী।আবার পিতার সম্পদের পরিমানও কম নয়। আর যার সাথে ঘড় বেধেছেন তার টাকা না থাকলেও যোগ্যতার কোনো ঘাটতি নেই। অক্সফোর্ড থেকে লেখাপড়া করেছেন। হ্যা গায়ের চামড়া কালো। তাতে কী? মানবিক যোগ্যতার তো অভাব নেই। প্রেম আর দায়িত্ববোধের কারনে ধর্নাঢ্য পরিবারের মেয়ে তাকে চাইছেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভুত বিজ্ঞানী জেডিডাহ ফ্রান্সিসের প্রেমে পড়েন অ্যাঞ্জেলিন। তখনই ঠিক করেন বিয়ে করবেন দু’জনে। কিন্তু মেয়ের এই সম্পর্কে ঘোর আপত্তি ছিল খু কে পেংয়ের। যিনি মালয়েশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন। এমনকী, ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিচারে মালয়েশিয়ার সেরা ৫০ জন ধনকুবেরদের মধ্যে তিনি অন্যতম।

অ্যাঞ্জেলিনা খুয়েরের চতুর্থ সন্তান। বাবার কত সম্পত্তি রয়েছে, কখনও খোঁজও নেননি তিনি। শুধু ভালবাসার চাহিদা ছিল তাঁর। যা পূরণ হয়েছে জেডিডাহর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর। তাই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি মাথাতে না এনে মনের মানুষের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন এই মেয়ে। আর বিয়ের পর ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন নিজের কেরিয়ার। এখন তিনি সফল ফ্যাশন ডিজাইনার।

হ্যাঁ, বাবার মতো প্রচুর অর্থ হয়তো নেই। তবে শান্তি আছে। আর আছে একটি ইচ্ছে। কোনওদিন যদি বাবা তাঁর ভালবাসাকে আপন করে নেন। আর আর্শীবাদটুকুই উপহার হিসেবে দেন।