খুলনা এখন মশার স্বর্গ রাজ্য! মশা মানছে না মশারি!

খুলনা মহানগরীর প্রতিটি এলাকায় যেন রাজত্ব চলছে মশার। মশার উপদ্রব প্রকট আকার ধারণ করেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। মশক নিধনে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে এলেও কোন কিছুতেই যেন থামানো যাচ্ছে না মশার উৎপাত।

দেখা গেছে, বিভিন্ন স্থানে সংস্কারের জন্য ড্রেনের ঢাকনা সরিয়ে ফেলা এবং ড্রেনের বর্জ্য বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে মশার প্রজনন বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন নগরবাসী। ফলে দিনে রাতে মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে না কারো।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শীত মৌসুম শেষ হওয়ার পর থেকে নগরীতে মশার উপদ্রব বেড়েছে। এক সপ্তাহ ধরে মশার উপদ্রব অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এদিকে সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ মশার প্রজনন মৌসুম। মশা এ সময় দ্রুত বংশবিস্তার করে। যে কারণে এ সময় মশার উপদ্রব বাড়ে। অন্যদিকে নগরবাসীর অভিযোগ, সঠিক সময়ে মশার প্রজনন রোধ করতে না পারার মাশুল দিতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

নগরীর মুজগুন্নীর বাসিন্দা গৃহীণি রুমানা আক্তার (রানু) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দিন ও রাতে সমানতালে মশার উপদ্রব সহ্য করতে হচ্ছে। মশার কারণে ছেলেমেয়ের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। মশা নিয়ে খুবই বিপাকে আছি।

খুলনার একটি সামাজিক সংগঠনের নেতা দীন মোহাম্মাদ বলেন, মশার উপদ্রব ঠেকাতে সিটি করপোরেশন থেকে এখন পর্যন্ত কার্যকরি কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। মাঝে মধ্যে দুই একটি স্থানে ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হলেও মশা দমন করতে পারছে না।

নাগরিক সমস্যা নিয়ে কাজ করেন এমন একটি সংগঠন গ্লোবাল খুলনার আহ্বায়ক শাহ মামুনুর রহমান তুহিন বলেন, একদিকে নগর উন্নয়নের নামে ড্রেনের নোংরা আবর্জনা বাসিন্দাদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেই সাথে মশার উপদ্রব-দুইয়ে মিলে নগরবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। মাঝে মধ্যে কেসিসি থেকে খোলা ড্রেনগুলোতে ওষুধ ছিটাতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেটা লোক দেখানো কিনা বুঝতে পারিনা। কারণ ওই ওষুধে মশা দমন হচ্ছে না। ওষুধের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

মশা নিধন কার্যক্রম থেমে নেই দাবি করে কেসিসির কনজারভেনসি অফিসার আনিছুর রহমান বলেছেন, মশার উপদ্রব কমাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে আমাদের কর্মীরা ওষুধ ছিটানো শুরু করেছে। মশা নিধনে অভিযান কমিয়ে দেয়ার বিষয়টি সঠিক নয় বলে তিনি জানান।