গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে মৎস্যজীবী সমিতির মাছের ঘেরে সন্ত্রাসী কায়দায় মাছ লুট নদীর তীরে মানববন্ধন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে মৎস্যজীবী সমিতির মাছের ঘেরে সন্ত্রাসী কায়দায় গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে মাছ লুট ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবারের এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ ও মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিক্ষুব্ধ হয়ে জেলেরা বাঙালী নদীর তীরে মানববন্ধন করেছেন। গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযোগ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমিতির পক্ষে গোবিন্দগঞ্জ থানায় করা অভিযোগে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী বোচাদহ গ্রাম এলাকায় বাঙালী নদীর অংশে সরকারি নিয়ম মেনে প্রতি বছর এই সমিতির সদস্যরা ঘের দিয়ে মাছ সংরক্ষণ ও শিকার করে থাকেন। মাছ শিকারের অংশ হিসেবে বেশ কয়েক দিন ধরে মাছ খেদিয়ে ভাটি থেকে উজানে এনে জড়ো করছিলেন তারা। এরই মাঝে গত (১২ মার্চ) রবিবার বোচাদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের ২০-২৫ জনের একদল মানুষ অতর্কিতে হামলা চালায় জেলেদের ওপরে। তারা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে জেলেদও কয়েকজনকে মারপিট করে। এরপর জড়ো করা মাছের ওপরে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে বিপুল পরিমাণ মাছ লুট করে নেয়। এ সময় জেলেদের নৌকা ও জালসহ বিভিন্ন উপকরণ ধ্বংস করা হয়। এতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়।

মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শ্রী সম্ভু চন্দ্র দাস জানান, সমিতির দরিদ্র সদস্যদের সারা বছরের জমানো টাকা বিনিয়োগ করে মাছ শিকার করে আমাদের দিন কাটে। এখন সন্ত্রাসীদের গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগের কারণে মাছ লুটের পর অবশিষ্ট মাছগুলিও মরে পানিতে ভেসে উঠছে। এ কারণে পেটে ভাতের জোগান দূরে থাক, আমরা এখন ঋণ পরিশোধ নিয়ে চরম শঙ্কায় দিন পার করছি। এ ছাড়াও সন্ত্রাসীদের ৭ জনের নামোল্লেখসহ ২০-২৫ জনের নামে অভিযোগ করায় এখন তারা আমাদের প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে।

এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোবিন্দগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ দিকে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিক্ষুব্ধ হয়ে জেলেরা বাঙালী নদীর তীরে মানববন্ধন করেছেন।