গাইবান্ধায় তিন ডাকাত আটক

দেশের বিভিন্ন জেলাসহ গাইবান্ধা জেলায় সিগারেটের গোডাউনে ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে অভিযান চালিয়ে তিনজন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।

শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করেন গাইবান্ধা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন।

আটককৃত ডাকাতরা হচ্ছেন, বরগুনা জেলার আশকোনা গ্রামের চান মিয়া মোল্লার পুত্র মোঃ নাছির উদ্দিন মোল্লা @ দেলোয়ার (৫০), গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানার সারদাগঞ্জ গ্রামের মৃত- ছমর উদ্দিনের পুত্র মোঃ হাফিজুর রহমান (৪৫), ঝিনাইদহ জেলার কোট চাঁদপুর থানার এলাঙ্গী গ্রামের মোঃ আব্দুল হামিদেও পুত্র মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৩৬)।

পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে বিতরণকৃত প্রেস রিলিজ থেকে জানাযায়, গাইবান্ধা জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ)/ মোঃ বদরুজ্জামান মোল্লার নেতৃত্বে চৌকস ১টি দল বিরামহীনভাবে ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে উপরোক্ত এই আন্তঃজেলা ডাকাতদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাহাদের নিকট হইতে নি¤œ বর্ণিত নগদ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিক আপ ভ্যান উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। এ সংক্রান্ত পলাশবাড়ী থানার মামলা নং-০১, তারিখ-০১/১২/২০২২ খ্রি. ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড।

ডাকাতদের নিকট থেকে উদ্ধারকৃত মালামালগুলো হচ্ছে ডাকাতি করা সিগারেট এর বিক্রয়লব্ধ দুই লক্ষ প াশ হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিক আপ (যার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-ন ১৮-৯৮৫৫) ও ১টি কম্পিউটারের কি-বোর্ড।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার পৌরসভাস্থ নুনিয়াগাড়ী মেসার্স উচ্ছাস তরঙ্গ ট্রেডার্স হতে গত বছরের ২৯ নভেম্বর মধ্য রাতে অজ্ঞাতনামা ডাকাতরা নগদ ৩ লক্ষ ৮০ হাজার ৯৬ টাকা, ১টি কম্পিউটারের সিপিইউ যার মূলা ৫০ হাজার টাকা, ১টি এইচপি প্রিন্টার মূলা ২০ হাজার টাকা, নাইড গার্ডের ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন, নেভী কেটু শেখ, নেভী স্পেশাল, শেখ স্পেশাল মোট ২৫ কাটুন সিগারেট যার মূল্য ১০ লক্ষ ২৪ হাজার ৬৬২ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়।

এছাড়াও গত চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ১২টা থেকে ৪টার মধ্যে গাইবান্ধা পৌরসভার মাস্টারপাড়া খন্দকার মোড় ডি-এইড রোডের মেসার্স সবুর এন্ড সন্স প্রতিষ্ঠান হতে পাঁচ লক্ষ দশ হাজার টাকা মেরিস সিগারেট চুরি হয়। যাহার সদর থানার মামলা নং-৩২, তারিখ- ২৪/০১/২০২৩ খ্রি, ধারা-৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড উক্ত মামলা সংক্রান্ত আসামী জড়িত থাকার বিষয়ে এবং উপরোক্ত জব্দকৃত পিক আপ ভ্যান দ্বারা উক্ত চুরি সংঘটিত করেছের বলে স্বীকার করেছে। আসামীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ৭/৮টি করে মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।