গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কৃষ্ণাদিয়া বাগুমৃধা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া, ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে কিছু কুচক্রিমহল।

১০ সেপ্টেম্বর রবিবার মিতা আহমেদ বাদী হয়ে বাগু মৃধা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মাওলার বিরুদ্ধে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে কিছু ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের ও বিভিন্ন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগ ও সংবাদে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক জাল সনদে চাকরী নিয়েছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ছিলো, বিদ্যালয়ের যায়গা দখল করে প্রধান শিক্ষকের নিজ বাড়ি নির্মাণ, বালু ভরাটের টাকার অনিয়ম, অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি, বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ তার বাড়িতে নিয়ে রেখেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন প্রধান শিক্ষক।

এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মাওলা লিখিত প্রতিবাদে জানান, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে সব অভিযোগ ভুয়া, ভিত্তিহীন। বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে বিদ্যালয় ভবনের ২য় তলার বেঞ্চ বানানো হয়েছে, বালু ভরাট করার পরে তিনবার চেক করে রিপোর্ট দেয়ার পরে বিল দাখিল করা হয়েছে, বিদ্যালয় চত্বরের বাইরে অন্য মালিকের নিকট থেকে জমি কিনে বাড়ি করেছি যার দলিল পর্চা এবং আমার নামে মিউটিশন আছে। বিদ্যালয়ের ২০ পিসি ও ২টি ল্যাপটপ বিদ্যালয় ল্যাবে রয়েছে। আমার বিএড সার্টিফিকেট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের, আমার স্ত্রীকে লাইব্রেরীয়ান হিসাবে যোগদান করানো হয়েছে, তার লাইব্রেরীয়ানের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদপত্র রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে এবং সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকায় ‘‘কৃষ্ণাদিয়া বাগুমৃধা উচ্চ বিদ্যালয় অনিয়ম দুর্নীতির আখড়া” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশ করেছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।