ঘুম || ওমর ফাইয়ায

একটা প্রবাদবাক্য গ্রাম অঞ্চলে প্রসিদ্ধ আছে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝবিনারে বেটা!
আমরা সব সময় আল্লাহর এমন কিছু নেয়ামত উপভোগ করি যেগুলো ছাড়া আমাদের জীবনযাপন অসম্ভাব্য!
এখন একটি নেয়ামতের কথা স্মরণ করি।
হুম, ঘুমের কথা স্মরণ করি। এই ঘুমের মূল্য সেই বুঝে যার এটার জন্য দৈনন্দিন কয়েকটা ট্যাবলেট হজম করতে হয়।

ঘুম কী?

ঘুম হলো কিছু সময়ের জন্য বাহ্যিক জগৎ থেকে আপনার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন থাকা। সামান্য পরিমাণও যদি এজগতের সাথে সম্পর্ক থাকে তাহলে এটাকে ঘুম বলা হবেনা বলা হবে তন্দ্রা!
এজন্যই তো কেউ দেখা যায় হা করে ঘুমুচ্ছে, মাছি এটাকে উপযোগী গর্ত ভেবে রিতিমতো ঘোরাফেরা করছে, তার যদি সামান্য পরিমাণও অনুভূতি থাকতো সেকি তার এই বিচ্ছিরি অবস্থার অবতারণাকে মেনে নিতে পারতো?
আবার কেউ তো ঘুমিয়ে পাশের লোককে কোলবালিশ বানিয়ে ফেলে অথচ জাগ্রত অবস্থায় তার শরীরের সামান্য স্পর্শকেও সে অন্যভাবে দেখে!এটাই ঘুম!বাহ্যিক জগৎ থেকে পরিপূর্ণ আলাদা হয়ে যাওয়া।
এই সম্পর্ক বিচ্ছিন্নতা যখন আজীবনের জন্য হয় তখন এটাকে মৃত্যু বলে। ঘুম মৃত্যুরই সাদৃশ্যতা বহন করে, তাই তো ঘুমের আগে পড়তে হয় হে আল্লাহ, তোমার নামেই মৃত্যুবরণ করতেছি এবং তোমার নামেই জাগ্রত হবো।কেউ যখন মারা যায় তখন আমরা বলি সে চিরনিদ্রায় শায়িত।
এই ঘুম আল্লাহ তায়ালা এমনিতেই দেননি।ঘুমের মধ্যে রয়েছে এমন এক এনার্জি যা আপনার পরবর্তী কাজের উদ্দীপক ও শক্তিসঞ্চারক।ঘুম ঠিকমতো হলেই আপনি আপনার কাজ সুচারুরুপে আঞ্জাম দিতে পারবেন নচেৎ একটু কাজ করলেই দেখবেন ক্লান্ত হয়ে গেছেন, শরীর আর চলছেনা।পড়তে বসেছেন খুব আঁটসাঁট বেঁধে কিন্তু মাথায় কিছু ঢুকছেনা।কারো সাথে কথা বলতেও ভালো লাগবেনা মেজাজটা খিটখিটে লাগবে।ভালো কথা বললেও মেজাজ গরম হয়ে যাবে।
স্মরণ করুন ঐশীবাণী-

“আমি ঘুমকে সৃষ্টি করেছি বিশ্রামসরুপ।
আর দিনকে বানিয়েছি উপার্জনের মাধ্যম।”

ঘুমের পর কেন আল্লাহ তায়ালা উপার্জনের কথা বললেন?
হুম, এটাই বুঝাইলেন এই ঘুম তোমার দিনের উপার্জনের জন্য অনেক বড় সহায়ক হবে!
আমাদের কর্তব্য এবং আবশ্যক হলো এই নেয়ামতের কদর করা আর এই নেয়ামতের স্রষ্টার শোকর করা।তৌফিক দিন সেই আল্লাহ আমাদের যিনি নেয়ামত সৃষ্টি করেছেন!!