চাঁদপুরে—৫ এ জাতীয় পার্টি নেই সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সামনে শক্ত তিন স্বতন্ত্র বাহাদুর শাহকে নিয়ে ৯ প্রার্থী

চাঁদপুর—৫ হাজীগঞ্জ—শাহরাস্তি আসনের নৌকা সাথে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনী মাঠে ৯ জন। এরা সকলে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে।

সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ৬ষ্ঠ বারেরমত নৌকা প্রতিক নিয়ে মনোয়নয়পত্র জমা দিয়েছেন। তার সামনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য পদ ত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মো: মাঈনউদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা সফিকুল আলম, অষ্টেলিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রধানীয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এ দিকে এই আসনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়াম্যান চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ নিজেই রয়েছেন। জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী মো: ওমর ফারুক তার নিজ এলাকায় শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। কিন্তু জমা দানের শেষ দিন ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়ে চাঁদপুর আসার সময় জেমে আটকা পড়ার কারণে ফরম জমা দিতে পারে নি। তিনি নিশ্চিত করেছেন এই আসনে তিনি নির্বাচন করতে পারছেন না।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর(অব রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে তিনি বলেন, জনগণই আমার শক্তি, সতন্ত্র প্রার্থীরা নৌকার জয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। সময়মত সকল সতন্ত্র প্রার্থীরা সরে যাবে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সতন্ত্র প্রার্থী গাজী মো. মাঈনুদ্দিন বলেন, নেতা কর্মীদের অনুমতি নিয়ে আমি মনোয়নপত্র জমা দিয়েছ্ি। দলের নেতাকর্মী আমার সাথে আছে। আমি জয়ের জন্য শতভাগ আশাবাদী।

ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা সফিকুল আলম ফিরোজ বলেন, আমি নৌকার বিরুদ্ধে নয়, নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচন করবো। কারণ আমার এলাকায় নৌকার মাঝির বয়সের কারণে নৌকা বাইতে পারেন না। তাই আমরা যারা নৌকা থেকে ছিটকে পড়েছি জনগনের সহযোগিতায় এমপি হয়ে আবার নৌকার হাল ধরবো।

এদিকে আওয়ামী নেতা সতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন প্রধানীয়া বলেন, নির্বাচনে অংশ নিয়ে শতভাগ বিজয়ের প্রতাশা করি।

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না পেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো। নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করি। এ আসনের চেয়ার প্রতীকের সমর্থকরা সক্রিয় রয়েছে। এ এলাকায় আমার সমর্থক ও রয়েছে প্রচুর।

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (ছড়ি) প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মুকবুল হোসেন, জাসদের মো: মনির হোসেন মজুমদার, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ) বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন।