জামায়াত-শিবিরের নামে হাতপাখার নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগ

জামায়াত-শিবির আখ্যায়িত করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। পাশাপাশি কোনো রক্তচক্ষুর পরোয়ানা করে নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে অটল থাকতেও আহ্বান জানিয়েছে।

সোমবার দলটির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

দলটির পক্ষে থেকে সিইসির কাছে ১২টি নির্বাচনী এলাকায় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, মিছিলে হামলা, প্রচারে বাধা প্রদানসহ নানা অভিযোগ করা হয়।

পরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রতিনিধি দলের সদস্য মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের জামায়াত-শিবির অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ভাঙচুরের মামলা দেয়া হচ্ছে।’

প্রতিনিধি দলের প্রধান ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ টি এম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু তার কোনো উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সরকারি দল ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করছে। বিশেষ করে হাত পাখার এজেন্টদের কেন্দ্রে যেতে ভয় দেখানো হচ্ছে। কোথাও কোথাও গ্রেফতারও করা হচ্ছে। শুধু ইসলামী আন্দোলন নয়- অন্য দলগুলোর ওপরও ক্ষমতাসীনরা এ রকম হামলা করছে। প্রার্থীরাও আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট পরিচয়ের মানুষ ছাড়া অন্যরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন কি-না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’

মহাজোটের পেটুয়া বাহিনী সর্বত্র পেশিশক্তি প্রদর্শন করছে। দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে উল্লেখ করে এ টি এম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, ‘কোথাও জননিরাপত্তা নেই। ৩০ ডিসেম্বর ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কি-না এমন সংশয়ও আছে।’