ঝালকাঠির রাজাপুরে গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার‘ স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ

ঝালকাঠির রাজাপুরে নাজমীন (১৮) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকেলে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নাজমীন উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া এলাকার আসাদ হাওলাদার শান্ত’র স্ত্রী।

এদিকে রাজাপুর থানা পুলিশ নিহতের স্বামীকে আটকের পর রহস্যজনক ভাবে থানা থেকেই ছেড়ে দেয়ায় নিহত নাজমীনের স্বজনরা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

গত ৮ মাস পূর্বে তাদের প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিবাহ হয়। নাজমীন তার স্বামী আসাদ হাওলাদার শান্ত’র সাথে আমতলা বাজার এলাকায় এতটি ভাড়া বাসায় থাকতো ।শুক্রবার দুপুরে আসাদ হাওলাদার শান্ত বাহির থেকে বাসায় ফিরে স্ত্রী নাজমীনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তাব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। পুলিশ নিহতের স্বামী আসাদ হাওলাদার শান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়।

গৃহবধু নাজমীনের স্বামী জানায়, আমি কাজ শেষে দুপুরে বাসায় ফিরে স্ত্রী নাজমীনকে গলায় কাপর তিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছে দেখতে পাই । তখন আমি একাই তাকে উদ্ধার করে দ্রুতো হাসপাতালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। তার সাথে তেমন কোন মনোমালিন্য বা ঝগড়া না হওয়ায় হঠাৎ করে কেনো কি কারনে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলো তা সে বলতে পারেনা বলে জানায়।

নিহতের পরিবার জানায় , আমাদের না জানিয়ে আমার মেয়েকে ভালোবাসার ঝালে জড়িয়ে মাত্র ৭/৮মাস পূর্বে বিয়ে করে। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে জামাই আসাদ হাওলাদার শান্ত ও তার পরিবারের লোকজন নানা কারনে মেয়েকে নির্যাতন করে আসছিল।

ইতিপূর্বে একবার নির্যাতনের খবর পেয়ে আমরা পুলিশ নিয়ে এসে নাজমীনকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে গেছি। বিনা কারনে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেনা। নিশ্চই ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।

রাজাপুর থানার এস আই সনজীব কুমার পাহলান জানান ,খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হবে। তার স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সে জানায়।