দিল্লিতে নিষিদ্ধ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ম্যাচ?

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দিল্লির বায়ুদূষণ। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, কলকারখানা ও যানবাহনের কালো ধোঁয়া, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে শীতের শুষ্কতার কারণে ধুলাবালির উৎসব। সব মিলিয়ে দিল্লি যেন এখন বসবাসের অযোগ্য এক নগরী। পরিবেশবিদরা শহরটিকে হিটলারের ‘গ্যাস চেম্বারে’র সঙ্গে তুলনা করেছেন। প্রতিদিন অল্প অল্প করে মরছেন দিল্লিবাসী। আর কয়েক বছর এ অবস্থা চলতে থাকলে শহরটি পরিণত হতে পারে মৃত্যুপুরীতে। আপাতত এ বছর দিল্লির পরিবেশ বাঁচাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। শোনা যাচ্ছে, এ কারণে দিল্লিতে আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

বায়ুদূষণের কারণে দিল্লিতে এসে নাকাল হয়েছেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। দলটির অনেক ক্রিকেটারের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। সান্দাকান, লাকমলরা বমিও করেছেন কয়েকবার। এ কারণে দিল্লিতে আপাতত কোনো ম্যাচ রাখার পক্ষে নন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব অমিতাভ চৌধুরী। এই কর্তাব্যক্তি বলেন, ‘দিল্লি টেস্টের শেষ কয়েক দিনের অবস্থা দেখে দিল্লির ম্যাচগুলো অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া যায় কি না, সেটা আমরা ভেবে দেখছি। কুয়াশা, ধোঁয়ার মতো বিষয়গুলোতে বোর্ড সব সময়ই সিরিয়াস। দূষণের কারণে এ বছর ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচগুলো দিল্লির বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে চলছে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। বায়ুদূষণের ভয়াবহ অবস্থা থেকে নিজেদের বাঁচাতে মাস্ক পরে মাঠে নেমেছেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। বায়ুতে অস্বাভাবিক পরিমাণে ধুলাবালি ও সিসা থাকায় নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে সফরকারী ক্রিকেটারদের। পেসার সুরঙ্গা লাকমল ও লাহিরু গামাগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। লাকমল বমি করতে শুরু করে দেন।

দিল্লির বায়ুদূষণ সারা বিশ্বে এখন আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। পর্যটকদের অনেকেই শহরটি ত্যাগ করেছেন। এ অবস্থায় চিন্তিত দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। দেখার বিষয়, দূষণ রোধে শেষ পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নেয় দেশটির সরকার।