নওগাঁয় জেএমবির দূর্ধর্ষ জঙ্গি গ্রেফতার

নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির দূর্ধর্ষ জঙ্গি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি মোঃ আরিফ হোসেন(২৭)কে নওগাঁ জেলার সাপাহার থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্প ও র‍্যাব-২ এর যৌথ আভিযানিক দল।

আজ র‍্যাবের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র‍্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্প।
র‍্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্প ও র‍্যাব-২ এর বিশেষ আভিযানিক দল জঙ্গি আরিফের অবস্থান নওগাঁ জেলার সাপাহার এলাকায় নিশ্চিত হলে র‍্যাব-৫ এর একটি আভিযানিক দল টানা ২ দিনের একটি রুদ্ধশ্বাস অভিযান পরিচালনা শেষে জেলার সাপাহার থানা এলাকা হতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) দূর্ধর্ষ নেতা এবং দাওয়াতি বিভাগের সক্রিয় সদস্য মোঃ আরিফ হোসেন(২৭) কে আটক করে। জঙ্গি আরিফ জেলার সাপাহার উপজেলার ইমাম হোসেনের ছেলে।

র‍্যাব আরও জানায়, আরিফ হোসেন(২৭) নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ(জেএমবি) এর শীর্য জঙ্গি নেতা এবং দাওয়াতি বিভাগের সক্রিয় সদস্য। আরিফ হোসেন (২৭) সহ তার অন্যান্য সহযোগী জেএমবি সদস্যরা গত (২২ জুলাই) ২০১৭ সালে ডিএমপি ঢাকার মোহাম্মাদপুর থানা এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির একদল লোক নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটানোর পরিকল্পনার জন্য গোপন বৈঠকে মিলিত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিত টের পেয়ে উক্ত আসামী আরিফ পালিয়ে গেলেও মোঃ সোহাইব শেখ, মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক বিদেশী পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ও ০১ টি ধারালো চাপাতি এবং নানা রকম উগ্রবাদী বই সহ হাতেনাতে গ্রেফতার হয় এবং মোহাম্মাদপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় মোঃ আরিফ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন জেএমবি সদস্য পালিয়ে গিয়েছিলো,তাদের মধ্যে মোঃ আরিফ হোসেন(২৭) একজন দূর্ধর্ষ জেএমজি নেতা। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখিত আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন।

জঙ্গী আরিফ জামিনের পর পলাতক হলে বিজ্ঞ সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। এছাড়াও মামলায় জামিনের পর থেকে উক্ত আসামী আইনশৃংঙ্খা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার এড়াতে বারবার অবস্থান পরিবর্তন করে আসছিল এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জেএমবির কার্যক্রম গোপনে চালিয়ে যাচ্ছিল।

সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জামিন পেয়ে পলাতক হওয়ার পর থেকে র‍্যাব এর একটি আভিযানিক দল তাকে গ্রেফতারের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখে এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তিতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় সাপাহার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।