নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় এক বছরে ৮১জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে

নওগাঁর রাণীনগর- আত্রাই উপজেলায় গত এক বছরে ৮১জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এসব অস্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে আত্মহত্যার তালিকায় ৮বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৮৩ বছরের বৃদ্ধ রয়েছে।এর মধ্যে ১১জন শিশু-কিশোরসহ ৫৪জন আত্মহত্যা,১১জন পানিতে ডুবে,৭জন বিদ্যুৎস্পর্শে,৭জন অজ্ঞাত কারনে এবং একজন বজ্রপাতে ও একজন ছাদ থেকে পরে মারা গেছে।

রাণীনগর থানাপুলিশের দেয়া তথ্য মতে,চলতি বছরের শুরু থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপেজলায় কেউ বিষপানে কেউ গলায় ফাঁস দিয়ে শিশু,কিশোর ও নানান বয়সি মোট ২৯জন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে গত ২এপ্রিল চরকানাই গ্রামের সুমাইয়া আক্তার (১৭) গলায় ফাঁস দিয়ে,১২মে কালীগ্রামের ফারজানা খাতুন (১৫) গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে,৭জুলাই কালীগ্রামের তাসকিয়া খাতুন (১৫) গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে,১৮ আগষ্ট শিয়ালা গ্রামের আমির হামজা (১০) বিষপান করে,২৩ আগষ্ট বনপুকুর গ্রামের বাদল হোসেন (১৩) গলায় ফাঁস দিয়ে, ২৭ নভেম্বর যাত্রাপুর গ্রামের শিশু ছালমা ওরফে শারমিন আক্তার (৮) গলায় ফাঁস দিয়ে এবং ২৬ ডিসেম্বও বড়িয়া গ্রামের সৃষ্টি হোসেন (১৭) গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে।

এসব আত্মহত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিমান করে,কেউ পেটের পিঁরা,কেউ মানষিক সমস্যাজনিত কারনে আত্মহত্যা করেছে বলে থানায় দায়েরকৃত অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় দাবি করা হয়েছে।এছাড়া পানিতে ডুবে ৬জন,বিদ্যুৎস্পর্শে ৪জন,অজ্ঞাত কারনে ৩জন এবং বাসার ছাদ থেকে পরে ১জনের মৃত্যুসহ মোট ৪২জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
অপর দিকে আত্রাই থানাপুলিশ জানায়,উপজেলায় চলতি বছরে ২৫জনের আত্মহত্যাসহ মোট ৩৮জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

এর মধ্যে গত (২৬জানুয়ারী) সুবর্ণ গ্রামের শিশু চিত্রারাণী (১১) গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে,২২মার্চ উলাবাড়িয়া গ্রামের শিশু আরমান (১১) গলায় ফাঁস দিয়ে, ২৫জুন সাহেবগঞ্জের মারুফ হোসেন (১৭) বিষপান করে এবং ২ফেব্রুয়ারী নৈদিঘী গ্রামের নছিরন বেওয়া (৮৩) গলায় ফাঁস দিয়ে এবং ১৭জুলাই রাতে সুদরানা গ্রামের দম্পতি মাসুম সরদার (২২) ও তার স্ত্রী লিমা বিবি (১৮) এক সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।এছাড়া পানিতে ডুবে ৫জন,বিদ্যুৎস্পর্শে ৩জন,বজ্রপাতে ১জন এবং অজ্ঞাত কারনে ৪জনের মৃত্যু হয়েছে।

রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশেষ করে শিশুরা অনেক আবেগ প্রবোন হয়। এরা সামান্য বিরুপ আচরণে মান-অভিমান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। সুতরাং প্রত্যেক বাবা-মা বা অভিভাবকদের উচিত শিশুদের সাথে ভাল ব্যবহার এবং ভালবাসা দিয়ে আগলে রাখা। তাহলেই অনেকাংশেই আত্মহত্যা রোধ করা সম্ভব।