নওগাঁর পত্নীতলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতী শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

নওগাঁর পত্নীতলায় মাটিন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী সোহরাবের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দপ্তরী সোহরাব বিভিন্ন ছলচাতুরি করে ছাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয়। বিশেষ করে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রীদের। বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পত্নীতলা উপজেলা প্রেসক্লাবের এক সদস্য বিভিন্ন ভাবে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ কালে জানতে পারেন যে, ঘটনাটি পুরোপুরি সত্য শুধু তাই নয় এর পূর্বেও এই সোহরাব বেশ কয়েকবার একই ধরনের অপরাধ করেছে।

ছাত্রীদের অভিভাবক মান-সম্মানের ভয়ে চুপ করে থেকেছেন কিন্তু এই নরপশু নিজেকে সংশোধন না করে তার পশুত্ব বারবার এ আচরণ করে চলেছে । অবশেষে গত কয়েকদিন আগে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া বেশ কয়েকজন ছাত্রী একটি লিখিত ভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ ইসমত আরা বেগম বরাবরে জানায় যে দপ্তরী সোহরাব বিভিন্ন ভাবে আমাদের শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয় সেই সাথে আরো অশালীন ভাষা ব্যবহার করে। উক্ত ঘটনায় বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু অভিভাবক আমাদের জানান এই ধরনের অপরাধের জন্য বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর পর আমরা সব সময় আতঙ্কিত হয়ে থাকি।

তাছাড়া উক্তি স্কুল হতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী পোরশা উপজেলার শিশাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে লেখাপড়া শুরু করেছেন সেই সাথে ভুক্তভোগী এক অভিভাবক কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন এই অল্প বয়সে এইসব বাচ্চাদের সাথে এরূপ আচরণ হয়ে থাকলে তাদের ভবিষ্যৎ এবং জীবন
প্রবাহের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

এলাকার অভিভাবকগণ বিষয়টি নিয়ে তোড়জোর শুরু করলে ওই স্কুলের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি, উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ স্থানীয় সাধারণ পুরুষ ও মহিলা অংশগ্রহন করেন।

সেই সভায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দুই সদস্য ক্লাসটার প্রধান মোঃ আমিনুল ইসলাম ও মোঃ এ কে এম খোকন উপস্থিত থেকে বিষয়টি ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।

একাধিক সূত্রে জানাযায় উক্ত লিখিত কাগজটি স্কুলের
সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম সবার সামনেই পড়ে শুনান সেখানে উপস্থিত সাধারণ জনগণ পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে একই কথা বারবার উচ্চারণ করেন চরিত্রহীন লম্পট সোহরাবকে এই স্কুলে আর দেখতে চাই না। তাদের কথা মানুষ ভুলের
ঊর্ধ্বে নয় কিন্তু একই ঘটনা যখন বারবার হয় তখন তাকে ভুল বলা যায় না।

এটা তার চরিত্রহীনতার ফল উক্ত অনুসন্ধানে জানা যায় কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহল নিজের সুবিধা বা আর্থিক কোন না কোন ভাবে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য পশু সোহরাবকে বিভিন্ন কৌশলে বারবার হেফাজত করেছেন সেই সাথে
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ ইসমত আরা বেগম ও সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম সোহরাবের আপন মামা-মামী হওয়ার ফলে সে বারবার বেঁচে যাচ্ছে।

এছাড়া উক্ত কাজে স্থানে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আজিজার রহমান চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ পরোক্ষ ভাবে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

পত্নীতলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোখলেসুরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান তাৎক্ষণিকভাবে সোহরাবের বিল বেতন বন্ধসহ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে তদন্ত রিপোর্ট পত্নীতলা উপজেলা
নির্বাহী অফিসারকে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন বিধি মোতাবেক যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

উক্ত বিষয়ে পতিতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমানা আফরোজের সঙ্গে মুঠোফোনের যোগাযোগ করা হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।