নওগাঁর পত্মীতলায় এ্যাসাইনমেন্ট বিতরণে অনিয়ম, প্রধান শিক্ষক শোকজ!

নওগাঁর পত্মীতলায় নাগরগোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে এ্যাসাইনমেন্ট (প্রশ্নোত্তরপত্র) বিতরণে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত সাপেক্ষে শোকজ করা হয়েছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষককে।

চলমান করোনার কারণে দেশের সকল স্কুল-কলেজ বন্ধ আছে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চর্চা-কে ধরে রাখতে ওয়ার্কশীট (প্রশ্নোত্তর পত্র) এর মাধ্যমে ম‚ল্যায়নের ব্যবস্থা করবার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষা অধিদপ্তর।

নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রত্যেক সপ্তাহে এ্যাসাইনমেন্ট দেবার কথা থাকলেও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অফির উদ্দীন শিক্ষা দপ্তরের সেই নিয়মকে তোয়াক্কা না করে নিজের তৈরী করা নিয়মে চালাচ্ছেন স্কুল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আগের অনেক অভিযোগ রয়েছে এবং শোকজ হবার মতো ঘটনাও ঘটেছিল তখন।

গত শনিবার বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যাবার তারিখ অব্দি শিক্ষার্থীদের মাঝে কোন ফি ছাড়াই মোট ১৬ টি এ্যাসাইনমেন্ট দেবার কথা থাকলেও তার যথাযথ পালন করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে করে বিদ্যালয়টির কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা চর্চা পড়েছে ব্যাপক হুমকির মুখে। এ নিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকগণ।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও একাধিক অভিভাবক জানান, এ পর্যন্ত শিক্ষকরা আমাদের সন্তানদের হাতে বড়জোর ৬ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছেন। এরপর আমাদের বাচ্চাদের কাছে আর কোন ওয়ার্কশীট দেওয়া হয়নি । ওয়ার্কশীট নিজ খরচে ফটোকপি করে সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানান তারা।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, করোনার কারণে ওয়ার্কশীট বিতরণে একটু অনিয়ম হয়েছে। এসময় শোকজ হবার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি নিউজ প্রকাশ না করার ইঙ্গিতে প্রতিবেদক-কে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালান।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোখলেছুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছি। উপযুক্ত সদুত্তর না পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক মোঃ ইউসুফ রেজা’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এই বিষয়টি আমার জানা ছিলো না আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শোকজ হবার বিষয়টি জেনে বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিডি রাজশাহী) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সেই প্রধান শিক্ষক শোকজের কি উত্তর দেন সে বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট খোঁজ নেবো। সরকারি নিয়মের বাইরে কিছু হলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।