নরসিংদীতে রায়পুরায় মহিষের শিংয়ের গুঁতায় আহত কৃষকের মৃত্যু

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় কৃষিকাজ করার সময় মহিষের শিংয়ের গুঁতায় আহত কৃষক গোলাপ মিয়া (৭০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। গোলাপ মিয়া উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

এর আগে গতকাল সকাল ১০টার দিকে উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামের ফুলদির চক এলাকায় মহিষের শিংয়ের গুঁতায় গোলাপ মিয়া (৭০) ও তাঁর স্ত্রী শিরিয়া বেগম (৬০) গুরতর আহত হন। মহিষের শিংয়ের আঘাতে গোলাপের ভুঁড়ি বের হয়ে যায়, জখম হন শিরিয়া বেগমও। ওই দম্পতিকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

স্থানীয় কৃষক ও নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা বলেন, গতকাল সকালে গোলাপ ও শিরিয়া তাঁদের কৃষিজমিতে কাজ করছিলেন। সকাল ১০টার দিকে একটি মহিষ সেখানে এসে কাঁকরোল, ঝিঙেসহ নানা ফসলের খেত নষ্ট করতে শুর করে। এ সময় মহিষটি শিরিয়াকে শিং দিয়ে আঘাত করে। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে গোলাপ মিয়ার পেটে শিং ঢুকিয়ে দেয় মহিষটি। এরপরই মহিষটি দৌড়ে অন্যত্র চলে যায়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় কৃষকেরা গোলাপ ও শিরিয়াকে দ্রত উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। হাসপাতালের জররি বিভাগের চিকিৎসক তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নরসিংদীতে স্থানান্তর করেন।

পরে স্বজনেরা নরসিংদীর সরকারি দুই হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে আসেন।
রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন খান মো. জাহাঙ্গীর বলেন, মহিষের শিংয়ের আঘাতে গোলাপ মিয়ার ভুঁড়ি বের হয়ে গিয়েছিল।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে থানা-পুলিশ জানায়, মহিষটি পতি মিয়া নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জবাই করে বিক্রির উদ্দেশ্যে কিনে এনেছিলেন। সকালে ঘাস খাওয়ানোর জন্য মহিষটিকে নিয়ে মাঠে যান তিনি। একপর্যায়ে এটি দৌড়াতে শুর করে। পরে এই দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন মহিষটি ধরে ফেলেন।

রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মীর মাহবুব বলেন, কৃষক গোলাপ মিয়ার লাশ আজ সকালে বাড়িতে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত তাঁর স্ত্রী এখন কিছুটা সুস্থ আছেন, কথাবার্তা বলছেন।