নরসিংদী শিবপুরে বাকপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ;১০ হাজার টাকায় রফাদফার চেষ্টা

নরসিংদীর শিবপুরের জয়নগর এলাকায় বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরী (১৩)কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত সজিব (১৭)কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে লটকন বাগানে। স্থানীয় লোকজন ও ওই কিশোরীর বাবা মজিবুর রহমান অভিযোগ করে জানান, মেয়েটি শারিরীক ও বাকপ্রতিবন্ধী। প্রতিদিনের মতো বাকপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরী দোকানে যাওয়ার সময় একই এলাকার সজিব নামে এক যুবক তাকে স্পিড খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে জোর পূর্বক পাশের একটি লটকন বাগানে নিয়ে যায়। পরে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে পাশের বাড়ির জায়েদা খাতুন ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসলে সজিব দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে দিয়ে আসে।

এ ঘটনায় সজিবের বাবা স্বপন তার আত্মীয়—স্বজন নিয়ে রাত ৩টায় কিশোরীর মা সাহেরা খাতুনের কাছে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ক্ষমা চায় বলে জানান সাহেরা খাতুন। তিনি আরো বলেন, আমার মেয়েকে এ পর্যন্ত ২ বার এই সজিব শ্লীলতাহানী করার চেষ্টা করে। কিন্তুু আমি গরীব মানুষ ও আমার মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় সজিবের বাবা প্রভাবশালী লোকজন এনে আমাকে ভয়—ভীতি দেখায়। এই বিষয়ে আমি কোন মামলা—মোকদ্দমা করলে সজিবের বাবা আমাকে আমার নিজ বাড়ি হতে উচ্ছেদ করবে বলে হুমকি প্রদান করেছে।

গতকাল এ বিষয়টি নিয়ে সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রুদ্র সজিবের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। অথচ সজিবের বাবা স্বপন মিয়া তার কিছু লোকজন পাঠায় সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রুদ্রের কাছে ও ১০ হাজার টাকা উৎকোচ দিয়ে বিষয়টি ধামা—চাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়।

একই এলাকার বাসিন্দা সজিবের পাড়া প্রতিবেশি পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সংবাদকমীর্দের কাছে জানান, ঘটনাটি সত্য। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে সজিবের পরিবার। যেহেতু কিশোরীগরিব ও বাক—প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রভাব খাটাচ্ছে দুস্কৃতিকারীরা।

এদিকে জয়নগরইউপি মেম্বার নজরুল মিয়াকে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনাস্থলে তাৎক্ষনিক পরিদর্শন করেন ও কিশোরীর বাড়িতে যান। বিষয়টি আংশিক সত্য হিসেবে তিনি ধারনা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চেয়ারম্যান এর নিকট সুপারিশ করা হবে।

এদিকে কিশোরীর মা সাহেরা খাতুন জানান, শিবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিশোরীর চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবতীর্তে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

এবিষয়ে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবাইলের মাধ্যমে জানায়, যেহেতু আপনি আমাকে ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন, ঘটনার সত্যতা যাচাই করে দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।