পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিদ্যালয়ের মাটি বিক্রি করলেন দপ্তরী!

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নদীর তীর থেকে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক দপ্তরীর বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যাবহার করে এমন মাটি বিক্রির অবৈধ কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও ওই দপ্তরীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।

বিষয়টি জানাজানি হলে বর্তমানে নড়েচড়ে বসেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তারা।

তবে দপ্তরীর কর্মরত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক বলছেন বিষয়টি তিনি অবগত নন।

উপজেলার নীলগঞ্জ ইউপির হোসেনপুর গ্রাম সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদী তীর থেকে বিভিন্ন ইটভাটায় দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ ভাবে মাটি বিক্রি করে আসছে একটি চক্র। এদের মধ্যেই একজন খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী মো.মোতালেব মিয়া। বর্তামানে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা সকল জমি জমার দেখভালসহ খন্ডকালীন দায়িত্ব পালন করছেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানের নাম বিক্রি করে নদী তীর থেকে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে কাঠা ৩ হাজার টাকা দরে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছেন তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ- ‘দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে প্রভাবশালী ইটভাটার মালিকরা নদীর তীর থেকে একটি চক্রের মাধ্যমে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছ সমুলে ধংস করছে তারা।’

হোসেনপুর গ্রামের বাসীন্দা রুহুল আমিন জানান, ‘এই চক্রটি লাগাতার মাটি কাটার ফলে জঙ্গল বিনষ্টের পাশাপাশি কৃষি জমিরও ব্যপক ক্ষতি সাধন করছে।’

স্থানীয় আনোয়ার হোসেন ফরাজী বলেন, ‘যখন তখন মাটি কেটে নিলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।’

৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারুন মাঝি জানান, ‘দপ্তরী মোতালেব তার কাছে স্কুলের জমি দেখিয়ে কাঠা প্রতি ৩ হাজার টাকা দরে মাটি বিক্রি করেছে। তাই মাটি কেটে নিয়েছি।’

এ বিষয়ে মোতালেব মিয়া বলেন, ‘মাটি বিক্রি করলে কি হয়েছে? আমি চর দিয়া মাটি বিক্রি করছি।’

খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম জানান, ‘এ বিষয়টি আমি অবগত নই। মোতালেব বর্তমানে খন্ডকালীন দায়ীত্ব পালন করছেন। যদি প্রতিষ্ঠানের জমির মাটি বিক্রি করে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মো. শহীদুল জানান, ‘যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান সেখানে মাটি বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’