পদ্মা সেতুতে নিজেই টোল দিলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজে স্বয়ং টোল পরিশোধ করে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু পার হতে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে গুনতে হয়েছে ৭৫০ টাকা।

শনিবার (২৫ জুন) ১১টা ৪৮ মিনিটে টোল পরিশোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় নিজের গাড়ি বহরের সবকটির টোলও পরিশোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোট তিনি ১৬ হাজার ৪০০ টাকা দেন।

সেই সঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে খুলল আয়ের খাতা। এরপর মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভার যোগ দেন শেখ হাসিনা।

পদ্মা সেতুর টোল আদায়কারী কর্মকর্তা তানিয়া আফরিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথমে নিজের গাড়ির টোল দিয়েছেন। বাকি বহরের টাকাও তিনি পরিশোধ করেছেন।

টোল প্লাজাতে নারী ইনচার্জ দেখে প্রধানমন্ত্রী খুব আনন্দিত হয়েছেন বলেও জানান তানিয়া।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে সেতু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর জাজিরার অভিমুখে রওনা হয়।

আগামীকাল রোববার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে যানচলাচল শুরু হবে। ২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।

পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।

পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি।

বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্বপ্নের কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।