পাবনার ঈশ্বরদীতে ইউপি চেয়ারম্যান হলেন জামাই-শ্বশুড়

পাবনার ঈশ্বরদীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামাই-শ্বশুর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে আলোচনা হচ্ছে।
রোববার (২৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে জামাই-শ্বশুরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল খালেক মালিথা। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন।

অন্যদিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন আব্দুল খালেক মালিথার জামাই এমলাক হোসেন বাবু। তিনি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন।

মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল খালেক মালিথা বলেন, আমার প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার মতো কেউ না থাকায় আমাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন অফিস। আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করার জন্য কয়েকজনকে উৎসাহিত করেছিলাম কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত রাজি হয়নি।

শ্বশুর-জামাই নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আসলে এই নির্বাচন এলাকা ভিত্তিক হয়ে থাকে। এলাকায় যার জনপ্রিয়তা বেশি তাকেই জনসাধারণ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন। জামাইয়ের যোগ্যতায় জামাই চেয়ারম্যান হয়েছেন। এটা আমার জন্য খুশির খবর।

সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এমলাক হোসেন বাবু বলেন, জনগণ নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি। তারা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমার শ্বশুর আওয়ামীলীগের একজন ত্যাগী নেতা। দলে তার ত্যাগ অনস্বীকার্য। তার আদর্শে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করছি। তিনি যেই আদর্শে বিশ্বাসী সেটা যথাযথ মেনে চলার চেষ্টা করি। তাকে মেনে চলি সব সময়।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আশরাফুল হক জানান, ঈশ্বরদীর সাত ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছয়টিতে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী জয়ী হয়েছে। আর একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছে। মুলাডুলি ও সাহাপুরে নির্বাচিত দুজন সম্পর্কে জামাই-শ্বশুর। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এটা আমি লোকমুখে শুনেছি।