পাবনায় গাছেই পচে নষ্ট ২০ লাখ টাকার লিচু

পাবনার ঈশ্বরদীতে দুই ভাইয়ের বিরোধে গাছেই পচে নষ্ট হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকার লিচু। ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (২৯ মে) সকালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা এনামুল হক ও তার ছোট ভাই ইউপি মেম্বর আসাদুল হকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে তাদের পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

১ একর ৭৪ শতাংশ জমিতে ফলন্ত লিচু গাছের সংখ্যা রয়েছে ৯৫টি। এবার যে পরিমাণ লিচু ধরেছিল তার আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকারও বেশি।

সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আসাদুল হক জানান, তার বড় ভাই এনামুল হক জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করে ১৪৪ ধারা জারি করার কারণে তিনি তার বাগানের একটি গাছের লিচুও পাড়তে পারেননি। তার দাবি গাছেই পঁচে নষ্ট হয়েছে ২০ লাখ টাকারও বেশি লিচু।

ঈশ্বরদী থানা সূত্র জানায়, এই বিশাল বাগানের গাছের লিচু যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য সম্প্রতি দুই ভাইকে থানায় ডেকে বিরোধ নিরসনের চেষ্টা করেও কোন ফল আসেনি। জমির প্রকৃত মালিক দাবিদার ইউপি মেম্বর আসাদুল হক বলেন, ২০ বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম সালিশ আদালতে তাদের দুই ভাইয়ের পৈত্রিক জমির মধ্যে এই ১.৭৪ শতাংশ জমি ভাগ করে তাকে দেয়া হয়। তারপর থেকে তিনি এই জমিতে লিচু আবাদ করে আসছেন।

কিন্তু হঠাৎ তার বড় ভাই এনামুল হক স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমাকে হয়রানী করার জন্য ওই জমির মালিক বলে দাবি করে আসছেন। আসাদুলের দাবি আমাদের মরহুম পিতা আমাকে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছেন। আমার পক্ষে একটি ডিক্রিও রয়েছে।
এনামুল হক এ বিষয়ে বলেন, পৈত্রিক এই জমির অংশিদার আমিও। আমার ছোট ভাই আসাদুল হক ইউপি মেম্বর হওয়ার কারণে ইতোপূর্বে থানায় মিমাংসা বৈঠক না মেনে প্রভাব খাটিয়ে আমাদের লিচু বাগানের লিচু একাই ভোগ করতে চাওয়ায় আমি আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছি।
ঈশ্বরদী সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বাবলু মালিথা বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের উচিত ছিল উভয়পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে লিচুগুলো বিক্রি করে দেয়া। তাহলে এতোগুলো মৌসুমী ফল এভাবে নষ্ট হতো না।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি যেন লিচুগুলি নষ্ট না হয় তার ব্যবস্থা করতে কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কিছু করা যায়নি।