বন্ধুর ঘরে ফিরে আসে পেঙ্গুইনটি

চার বছর আগে রিও ডি জেনিরোর সৈকতে মাগেলানিক জাতের একটি পেঙ্গুইনকে ক্ষুধার্ত পড়ে থাকতে দেখে তুলে নিয়েছিলেন জোয়াও পেরেইরা ডি সুজা। এরপরই তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ২০১১ সালে তাদের প্রথম সাক্ষাতের পর সামুদ্রিক প্রাণীটি ৭১ বছর বয়সী পেরেইরার বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে ওঠে।

এ জাতের পেঙ্গুইন সাধারণত আর্জেন্টিনা ও চিলির উপকূলে বাস করে। প্রতিবছর ৩০০০-৫০০০ মাইল সাঁতরে সেটি তার কাছে ছুটে আসে। ধারণা করা হয় এতে পেঙ্গুইনটির কয়েক মাস সময় লেগে যায়।
সাবেক জেলে পেরেইরা একটি দ্বীপে বাস করেন। তিনি বলেন, ‘আমি পেঙ্গুইনটিকে নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসি। কেউ তাকে ধরলে সে বিরক্ত হয়। কিন্তু আমার কোলে বসে থাকে। আমি তাকে গোসল করাই। তাকে খাওয়াই।’ তিনি পেঙ্গুইনটির নাম দিয়েছেন ডিনডিম।

চার বছর আগের কথা স্মরণ করে পেরেইরা বলেন, তাকে রুগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করার পর সে আমার ভালোবাসায় এতটাই মুগ্ধ হয় যে তাকে সাগরে ছেড়ে দিতে চাইলে প্রথমে সে যেতে চায়নি। পরে একপর্যায়ে সে চলে যায়।

পেরেইরা বলেন, সবাই বলেছিল সে আর আসবে না। কিন্তু গত চার বছর ধরে সে প্রতিবারই আমাকে এসে দেখা দিয়ে যায়। সে জুনে আসে আর ফেব্রুয়ারিতে চলে যায়। মনে হয় সে আমাকে এত ভালোবাসে যে আমাকে দেখে আনন্দ পায়।

জীববিজ্ঞানী জোয়াও পাওলো ক্রাজেয়স্কি বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমি জীবনে কখনও দেখিনি। মনে হয় পেঙ্গুইনটি পেরেইরার পরিবারকে নিজের পরিবার মনে করে। তিনি বলেন, পেঙ্গুইন সাধারণত ২৫ বছর বাঁচে। তারা তাদের সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকে। একই সঙ্গীকে নিয়ে তারা জীবন পার করে দেয়। দি ইনডিপেনডেন্ট।