ব্রিটিশ সংসদে বসে পর্ন দেখার অভিযোগ এক সদস্যের বিরুদ্ধে

ব্রিটিশ সংসদে বসে পর্ন দেখার অভিযোগ উঠেছিল এক সদস্যের বিরুদ্ধে। সে সময় তুমুল বিতর্কও হয়েছিল এই কাণ্ড ঘিরে। কিন্তু এবার এক নারী সদস্য শার্লট নিকোলাস দাবি করলেন, পার্লামেন্টে ৪০ জন এমপির একটি ‘গোপন তালিকা’ রয়েছে। নারীদের সতর্ক করে দেওয়া হয় তাদের সম্পর্কে। জানিয়ে দেওয়া হয় এদের থেকে সাবধানে থাকতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এমন চাঞ্চল্যকর দাবি ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে।

কী বলেছেন লেবার পার্টির ওই সদস্য? শার্লট জানিয়েছেন, তালিকার একটা বড় অংশই নারীদের হেনস্তা করা ও তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগে কুখ্যাত। তার কথায়, ‘আমাকে বলা হয়েছে, আমি যেন তাদের থেকে কোনো ড্রিঙ্ক না নিই কিংবা লিফটে না উঠি। সোজা কথায়, আমি যেন এড়িয়ে চলি।’ তবে তালিকায় কারা আছেন, সেই নাম পরিষ্কার করেননি তিনি। কিন্তু জানিয়েছেন, এদের মধ্যে দুজন ক্যাবিনেটের সদস্য।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, এ ধরনের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কী করে পার্লামেন্টে রয়ে গিয়েছেন ওই এমপিরা? এ প্রসঙ্গে শার্লট জানাচ্ছেন, ‘এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কিছুই হয়নি। ওরা আমাদের আশপাশেই ঘুরে বেড়ান, নিজেদের কাজ করেন। এভাবেই চলছে।’
তিনি সরাসরি জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে তিনি আদৌ ‘নিরাপদ’ অনুভব করছেন না পার্লামেন্টে।
সদ্যই ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে শুরু করেছেন ঋষি সুনাক। আর এই সময়ই প্রকাশ্যে এল এমন বিস্ফোরক দাবি। ইতিমধ্যেই এক বর্ষীয়ান আমলাকে হেনস্তার অভিযোগে বিদ্ধ হয়ে পদত্যাগ করেছেন সুনাকের ক্যাবিনেটের সদস্য গেভিন উইলিয়ামসন। এবার দেখার পালা শার্লটের এই বিবৃতির পরে সুনাক কোনো সিদ্ধান্ত নেন কি না।

যৌন হেনস্তা ও শক্তির অপব্যবহার ব্রিটেনের পার্লামেন্টে নতুন কিছু নয়। এর আগে খোদ ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকেও এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। বিতর্কিত এমপি ক্রিস পিঞ্চারকে নিজের সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন বরিস। সে কারণেই গণপদত্যাগের পথে হাঁটেন এমপিরা। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।