মঠবাড়িয়া সূর্যমনি হাসানিয়া মাদ্রাসায় ১০টি পদ শূন্য:আছে নানা অনিয়ম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সূর্যমনি হাসানিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক-কর্মচারী ও নবসৃষ্ট পদ সহ ১০টি পদ শূন্য রয়েছে। এরমধ্যে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির নিয়োগের আওতায় ৫টি পদ এবং এনটিআরসিএ’র নিয়োগের আওতায় ৫টি পদ রয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ।

শূন্য পদগুলোর মধ্যে রয়েছে – সুপারেন্টেন্ডেন্ট (সুপার),ইবতেদায়ী প্রধান,অফিস সহকারী,নিরাপত্তা কর্মী (নবসৃষ্ট পদ) , আয়া (নবসৃষ্ট পদ),শরীর চর্চা, সহকারী মৌলভী,ভৌত বিজ্ঞান, লাইব্রেরিয়ান এবং ইবতেদায়ী ক্বারী।সুপার সহ অধিকাংশ পদই ৩ বছর ধরে শূন্য রয়েছে।
জানা গেছে, কমিটির হাতে থাকা ৫টি নিয়োগ নিয়ে স্থানীয়ভাবে এবং একাধিক নিয়োগ প্রত্যাশীদের মধ্যে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ ওঠে।এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য হানিফ মেম্বারের পিতা এবং মাদ্রাসাটির দাতা সদস্য কুটি মিয়া বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শোকজের জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন।মামলা নং-২৭৭/২৩ তারিখ-৩০/১১/২৩ ইং।
মাদ্রাসাটির পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে আছেন টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (স্বশিক্ষিত) রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার (রাঙা রিপন)।২০২২ সালের জুন মাসে ২ বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ২০২০ সালে সুপার পদ এবং ২০২১ সালে অন্যান্য পদ শূন্য হলেও যথাসময়ে নিয়োগ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন এই সভাপতি। এতে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় মাদ্রাসাটিতে ৫ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। এরমধ্যে শিক্ষকদের জন্য ১ লাখ টাকা এবং সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য ১ লাখ টাকা সহায়তা ব্যয় নির্ধারিত রয়েছে। শিক্ষকরা তাদের প্রাপ্য টাকা নিলেও অসহায় ছাত্র ছাত্রীদের এই অনুদানের কোন টাকা দেওয়া হয় নি।যদিও ২০ জন শিক্ষার্থীর প্রতিজনকে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। বইপত্র, শিক্ষা উপকরণ এবং লাইব্রেরির জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয় ধরা থাকলে এতে কোন টাকা ব্যয় করা হয়নি।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ জামাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কম্পিউটার শিক্ষকের নিকট থেকে তথ্য নিতে বলেন।তবে কম্পিউটার শিক্ষক ভুল তথ্য দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভ্রান্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন।
মাদ্রাসাটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রিপন জমাদ্দার জানান,সরকারী অনুদান ৫ লাখ টাকা খাত অনুযায়ী সঠিকভাবে ব্যয় করা হয়েছে।