মাটির তলা থেকে উদ্ধার জীবিত শিশু! বিস্মিত পুলিশ

শিশুর কান্নার শব্দ কানে এসেছিল অনেকেরই। মাঠে খেলাধুলো করার সময়। স্বাভাবিক ভাবেই খেলা থামিয়ে তারা খুঁজে দেখছিল কোথা থেকে আসছে এই কান্না। শেষমেশ আবিষ্কৃত হল মাটির নীচে পোঁতা রয়েছে এক সদ্যোজাত শিশুর দেহ।

তাকে উদ্ধার করার পরে দেখা যায়, কাদায় লেপা সারা শরীর পোকামাকড়ের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পরেও সে বেঁচে রয়েছে। বেশ কয়েক ঘণ্টা মাটির নীচে পুঁতে রাখা সত্ত্বেও তার এই বেঁচে যাওয়া দেখে মনে পড়ে যেতে বাধ্য প্রাচীন প্রবাদ রাখে হরি মারে কে! ঘটনা মধ্যপ্রদেশের।

তদন্তে নামার পরে পুলিশ রীতিমতো চমকে উঠেছে। একটি সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গিয়েছে, এক ষোলো বছরের কিশোরী ওই শিশুর মা। ওই কিশোরী আসলে শারীরিক নির্যাতণের কারণেই গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল। তাকে নির্যাতণ করে প্রতিবেশী এক কিশোর। সেই অবস্থাতেই ওই কিশোরীর বিয়ে দিয়েছিল পরিবার। তার পর তাকে বাপের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। সেখানেই শিশুটিকে জন্ম দেয় সে। প্রসবের পরে ওই শিশুকে মাটিতে কবর দিয়ে দেওয়া হয়।

ওই কিশোরীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে কিশোরকেও। জানা গিয়েছে, কিশোরীর স্বামী বিয়ের পরে জানতে পারেন কিশোরীর গর্ভবতী হয়ে পড়ার খবর। তিনি ওই শিশুকে মেনে নিতে চাননি। তাই তাকে মাটিতে পুঁতে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মাটির ১০ ইঞ্চি নীচে তাকে পুঁতে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেও বেঁচে গিয়েছে শিশুটি। তবে তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।