মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে পরিবার ও সমাজ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে- বিচারপতি নিজামুল হক

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে মাদক বিরোধী সংগঠন ‘এন্টি ড্রাগ সোসাইটি’ ২৩ জুলাই রবিবার, বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ‘মাদক প্রতিরোধে নাগরিক সমাজ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (সাউথ ইস্ট এশিয়া)’র সাবেক উপদেষ্টা প্রফেসর এম মোজাহেরুল হক, গ্লোবাল পিস অ্যাম্বাসেডর ও বাংলাদেশ মানবাধিকার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান এড. ড. মোহাম্মদ শাহজাহান, সঙ্গীত বিষয়ক পত্রিকা মাসিক সরগম এর সম্পাদক কাজী রওনক হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল লিগাল এইড ফাউন্ডেশনের (আসফ) এর নির্বাহী পরিচালক এম এম আব্দুল হক, ইউনিভার্সেল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এ. এইচ. এম জুয়েল মাহমুদ।

সংগঠনের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম তাজুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, ন্যাশনাল ডক্তরস ফোরামের মহাসচিব ডা: মামুন হাসিব ভূঁইয়া, মা শিশু ও মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লুৎফুন নাহার রিক্তা, ডিইউজের সদস্য জাকির হোসেন জীবন, অমর হাওলাদার বাবুল প্রমুখ। মাদক প্রতিরোধে নাগরিক সমাজ শীর্ষক ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সিনিয়র সাংবাদিক বোরহান ফয়সাল।

বক্তারা বলেন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে পরিবার ও সমাজ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি, এটা কারো একার পক্ষে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই দেশ থেকে মাদক নির্মুল করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের তিন দিকে বর্ডার এলাকায় প্রতিবেশী দেশে মাদকের প্রচুর উৎপাদন হচ্ছে। সেগুলো সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

প্রশাসনকে সজাক ভূমিকা না রাখলে ঐশ্বি যেভাবে তার পিতা-মাতাকে হত্যা করেছিল, সেই পথের পথিক হবে আরো অনেকে। বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুল-কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সম্মুখে মাদকের অপব্যবহার এবং শারিরীক ও মানুষিক কুফলুগুলো তুলে ধরতে হবে।

দেশের প্রচার মাধ্যম, টিভি, পত্রিকা ও সোস্যাল মিডিয়ায় মাদকের ক্ষতির দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। অনেকেই রাজনৈতিক ব্যানারে মাদকের ব্যবসা করে থাকেন। তাদের নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে মাদকের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। যে লোকটি মাদক গ্রহণ করে তার সাথে তার পরিবারের সাথে ছেলে মেয়েদের আড্ডা বন্ধ করতে হবে। তাহলেই দেশের আগামী প্রজন্ম মাদকের ভয়াবহ থাবা থেকে রক্ষা পেতে পারে।