মাদারীপুরে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন, পুলিশের বাধা

মাদারীপুরে একজনকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামে আউয়াল মাদবরকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজনরা। মানববন্ধন কর্মসূচিটি পালনের সময়ে পুলিশের বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসময়ে স্থানীয়রা প্রায় ৩ ঘণ্টা পাঁচখোলা বাংলাবাজার সড়ক অবরোধ করে রেখেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামে গত শনিবার দিবাগত রাতে কাশেম মাদবরের ছেলে আউয়াল মাদবরকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে নিহতের স্বজনরা ও স্থানীয় জনগণ। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের যাওয়ার পথেই বাধার সম্মুখীন হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ এখন পর্যন্ত অধিকাংশ আসামিদেরকে গ্রেফতার না করার কারণে স্থানীয়রা মানববন্ধনের আয়োজন করে। এসময় মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করতে শহরে যাওয়ার পথে পাঁচখোলা বাংলা বাজার সড়কে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এর প্রতিবাদে স্থানীয়রা প্রায় তিন ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী নিহত আউয়ালের ভাই দেলোয়ার হোসেন পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলাম। আমরা শহরে গিয়ে ডিসি-এসপির সাথে দেখা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই।

নিহতের স্ত্রী জরিনা বেগম বলেন, পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করছে। তারা আসামি গ্রেফতার না করে উল্টো আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে বাধা দিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

মানববন্ধন অংশগ্রহণকারী মো. ইকবাল নামের একজন জানান, আমরা হাজারখানেক লোক নিয়ে মানববন্ধনে এসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ মাঝপথে আমাদের আটকে দিয়েছে। পুলিশ আমাদের নারীদের ধাক্কাধাক্কি করেছে। এটা পুলিশ করতে পারেনা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, মানববন্ধনে পূর্ব অনুমতি না থাকায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া শহরের প্রবেশ মুখে তাদের বিরোধীপক্ষের থাকায় আমরা সহিংসতার ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশংকা করছি। আমরা আসামিদের গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে দুজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।