মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মালয়েশিয়ায় সহজে ও স্বল্প সময়ে ই-পাসপোর্ট ও ভিসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ই-পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের ‘কল সেন্টার’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।

আজ কুয়ালালামপুরে সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ হাইকমিশনের ই-পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের ‘কল সেন্টার’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রীর পক্ষে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান ফিতা কাটেন। এ সময় এ সার্ভিসের জন্য চুক্তিবদ্ধ আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড’ (ESL) কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, প্রবাসী ‍মিডিয়াকর্মীসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ উপলক্ষ্যে সেবা সপ্তাহ পালন করছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। এর শেষ দিনে এ কল সেন্টার উদ্বোধন করা হলো।

‘কল সেন্টার’ চালুর জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সেবা ও কল্যাণ নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রবাসীবান্ধব নীতি’ অনুসরণ করছেন। এ লক্ষ্যে, ৩০ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার। তিনি আরো বলেন যে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের সীমিত জনবল দিয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ১২ লক্ষাধিক প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ অন্যান্য সেবা এবং বিদেশিদের ভিসা সেবা প্রদান করে আসছে। সাম্প্রতিক স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় এসেছেন। ফলশ্রুতিতে, পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় হাইকমিশনের কাজের পরিধি বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ ধারণার আদলে সরকারের নির্দেশনায় পাসপোর্ট ও ভিসা সেবা সহজ ও দ্রুততর করতে আউটসোর্সিং কোম্পানি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ভার্চুয়ালি সার্ভিস সেন্টারটি পরিদর্শন করেন।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রবাসীবান্ধব নীতি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ‘কল সেন্টার’ চালু হলো। শীঘ্রই ই-পাসপোর্ট ও ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রবাসী-বান্ধব নীতি বাস্তবায়নে দূতাবাস আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলেও হাইকমিশনার উল্লেখ করেন ।

কল সেন্টারের টেলিফোন নম্বর : ০৩৯২১২০২৬৭। সোম থেকে শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত পাসপোর্ট ও ভিসা বিষয়ে এ নম্বরে কল করে পরামর্শ নেয়া যাবে।