মেম্বার প্রার্থী আড়াই ফুট উচ্চতার মশু, দেখাতে চান চমক

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আড়াই ফুট উচ্চতার মোশারফ হোসেন মশু সাধারণ সদস্যপদে প্রার্থী হয়েছেন। তার প্রার্থী হওয়ায় বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

ভোটাররা নিজের টাকা ব্যয় করে চালাচ্ছেন মশুর নির্বাচনি প্রচার।

হরমুজ আলীর ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী ২৬ বছর বয়সি মোশাররফ হোসেন মশুর উচ্চতা আড়াই ফুট। তিনি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর বাগভাণ্ডার এলাকার কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা।

এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তিনি ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে এবং প্রতীক বরাদ্দও পেয়েছেন। তার নির্বাচনি প্রতীক ভ্যানগাড়ি। ভোটের লড়াইয়ে জয়ী হয়ে ছোট কাঁধে জনসেবার গুরুদায়িত্ব নিয়ে তা পালন করতে চান তিনি।

বাগভাণ্ডার কদমতলা এলাকার শাহীন আহম্মেদ বলেন, একজন দরিদ্রের কষ্ট আরেকজন দরিদ্রই ভালো বোঝেন। তাই আমরা শারীরিক প্রতিবন্ধী দরিদ্র মোশারফ হোসেন মশুকে মেম্বার প্রার্থী করেছি।

আরেক ভোটার রেজাউল করিম বলেন, আগে যারা ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া যায়নি। এবার একজন শারীরিক প্রতিবন্ধীকে ভোট দিয়ে দেখি না কি হয়।

ইসমাইল হোসেন বলেন, মশু একজন প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়। সে যেন সমাজের মূলধারায় আসতে পারে, তাই এলাকাবাসী মশুকে প্রার্থী করেছে। মশু নির্বাচিত হলে অন্য প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখতে পারবে।

প্রার্থী মোশারফ হোসেন মশু বলেন, এলাকাবাসী আমাকে ভালোবেসে প্রার্থী করেছেন। তারাই আমার প্রচার চালাচ্ছেন। আমি নির্বাচিত হলে গরিবের হক বিনাপয়সায় তাদের ঘরে পৌঁছে দেব। আমার প্রতি এলাকাবাসীর ভালোবাসা ও আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনোয়ার হোসেন বলেন, মোশারফ হোসেন মশুর প্রার্থী হতে আইনি কোনো বাধা নেই। তার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়ে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ভ্যানগাড়ি মার্কা।