যশোরের মনিরামপুরে ছুরিকাঘাতে ২ ছাত্র গুরুতর আহত

একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সজলের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটিদল, রাতে বাড়িতে প্রবেশ করে দুইজন ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেছে।আহতদেরকে ওই রাতেই কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানাগেছে, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটী ইউনিয়নের আটঘরা গ্রামের টিকটক হিসাবে খ‍্যাত সাইফুল্লাহ কারিকারের ছেলে সজলের নেতৃত্বে লক্ষনপুর গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে তামিম হোসেন, চালুয়াহাটী গ্রামের ইসহাকের ছেলে আশিক, রতনদিয়া গ্রামের মোস্তফার ছেলে রুস্তম আলী ও হানুয়ার গ্রামের মেহেদী হাসানসহ ১০/১২ জনের একটিদল গত সোমবার (১৩ মার্চ) রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার আটঘরা গ্রামের মোছিদুল সরদারের বাড়িতে ঢুকে তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে আরিফুল ইসলাম শাওনকে ও শহিদুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানাকে ছুরিকাঘাত করে জখম করেছে।

পরে বাড়ির লোকজন আহতদের উদ্ধার করে ওই রাতেই কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
উল্লেখ‍্য, ঘটনার আগের দিন রবিবার (১২ মার্চ) আটঘরা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত মাহফিলে সামান‍্য বিষয় নিয়ে সজলদের সাথে কয়েকজন ছেলেদের কথাকাটির এক পর্যায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি ওই সময় স্থানীয় শহিদুল, রনি, আলামিনসহ অনেকেই মিমাংসা করে দিয়েছিলেন বলে আহত মাসুদ রানার পিতা শহিদুল সরদার জানিয়েছেন।

শহিদুল সরদার বলেন, মাহফিল মাঠে এমন তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সজল তার সহপাঠিদের ডেকে এনে, রাতে বাড়িতে ঢুকে শাওন ও মাসুদকে ছরিকাঘাত করেছে।
তিনি বলেন- ঘটে যাওয়া দুদিনের ঘটনা পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

আহত শাওন জানায়- মাহফিল মাঠে একটা বিষয় নিয়ে অন‍্যদের সাথে ঝগড়া হয়। সেখানে আমরা থামাতে যায়। অথচ আমাদের বাড়িতে হামলা করে আমাদের চুরিকাঘাত করেছে। আমার বাম হাতে ও পিঠের সাইটে এবং মাসুদ রানার পিঠে ও মাথায় একাধিক ছুরির আঘাত করেছে। এমনকি কোনো আইনের আশ্রয় নিলে আমাদের জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস‍্য মিন্টু রহমান বলেন, মাহফিল মাঠে সামান‍্য বিষয় নিয়ে পরের দিন এক জনের বাড়িতে যেয়ে এমন কাজ করা ঠিক হয়নি।
রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই ইমরান হোসেন বলেন, গোলযোগের বিষয় জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখি আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এখন কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব‍্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আহত রানার পিতা বলেন, থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।