যশোরে দই এর দামে দই সহ মাটির খুড়ি বা মালশা! ঠকছেন ক্রেতারা

মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের দই বিক্রেতারা সাধারণ ক্রেতাদের প্রতিনিয়ত ঠকাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

একাধিক দই ক্রেতাদের অভিযোগে জানা গেছে, দই তৈরিতে রাজগঞ্জের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা গরুর দুধের পরিবর্তে ভারতীয় কম দামের ও অত্যন্ত নিম্নমানের গুড়া দুধ ব্যবহার করছে। এছাড়া দোকান থেকে এক কেজি দই কিনলে সাধারণ ক্রেতারা প্রকৃতভাবে পাচ্ছেন সাড়ে ৫শ’ থেকে ৬শ’ গ্রাম দই, বাকিটার ওজন দইয়ের মালশা বা পাত্র। ফলে দোকানিকে এক কেজি দইয়ের দাম দিতে হলেও পাচ্ছে মূলত কম। সঠিক ওজনে দই না পেয়ে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতা সাধারণ।

এক কেজি দই দোকান থেকে কিনলে মাটির খুরিসহ দোকানদার এক কেজি দুই শ’ গ্রাম ওজন দেখিয়ে দেন এবং দুইশ’ গ্রাম খুরি বাদ রেখে এক কেজি দইয়ের দাম নেন। অথচ এক খুরিতে এক কেজি দই পাওয়া যায় না। এক খুরিতে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫শ’ থেকে ৬শ’ গ্রাম দই পাওয়া যায়। এমন কথা বলেছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজগঞ্জ এলাকার একজন শিক্ষক।

তিনি আরো বলেন, মাটির খুরিতে থাকা দই কিনে প্রতিনিয়ত ঠকতে হচ্ছে আমাদের। আর দোকানদাররা খুরিসহ দই বিক্রি করে লাভের পর লাভ করছেন। এমন কথা আরো অনেকে এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।

বিষয়টির দিকে নজর দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে রাজগঞ্জ এলাকার মানুষেরা।