যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভূপাতিত হওয়া বেলুন’ ফেরত চায় চীন

যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ভূপাতিত হওয়া বেলুন ফেরত চায় চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের দাবির কথা জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, এই বেলুন চীনের, তাই যুক্তরাষ্ট্রকে এর ধ্বংসাবশেষ ফেরত দিতে হবে। এ খবর দিয়েছে আরটি।

খবরে জানানো হয়, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সবথেকে আলোচিত ইস্যু ছিল এই বেলুন। চীনের এই বেলুনটি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় সন্দেহজনকভাবে উড়ছিল। এটি কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলছে কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে দেশটির সরকার। যদিও ইন্টারনেটে দেখে গেছে, সামান্য বেলুন নিয়ে এত হৈচৈ এক ধরণের কৌতুকের জন্ম দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত গত শনিবার নিজেদের সবথেকে আধুনিক যুদ্ধবিমান থেকে মিসাইল ছুঁড়ে বেলুনটি ভূপাতিত করে যুক্তরাষ্ট্র।

চীনের তরফ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণের নিন্দা জানানো হয়েছে। দেশটি প্রথম থেকেই বলছে, এটি কোনো নজরদারি বেলুন নয়। এটি শুধু বেসামরিক গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হত যা দুর্ঘটনাক্রমে আমেরিকার আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে।
এখন দেশটি বলছে, বেলুনটি যেহেতু চীনের সম্পদ তাই তারা এর ধ্বংসাবশেষ ফেরত চায়। এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বেলুন ফেরত চান। তিনি বলেন, এই বেলুন যুক্তরাষ্ট্রের নয়, এটি চীনের।

এদিকে এই বেলুন-কাণ্ড নিয়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে। এর জেরে বেইজিং সফর বাতিল করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এখন গুলি করে বেলুন নামানোর পর এ বিষয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু বেইজিং পত্রপাঠ সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। তারা শুধু বেলুন ফেরত চায়। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার মঙ্গলবার বলেন, গত শনিবার চীনা বেলুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পর প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে সচিব অস্টিন এবং চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েইর মধ্যে আলোচনার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু চীন আমাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আমাদের ইচ্ছে এখনও অব্যাহত আছে।