যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২১ বা ২২ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২১ এপ্রিল শুক্রবার অথবা ২২ এপ্রিল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

রোজা ২৯টি হলে ঈদ হবে ২১ এপ্রিল আর ৩০ রোজা হলে ঈদ হবে ২২ এপ্রিল। যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদ্্যাপনের জন্য ইতিমধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা চলছে। জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকাসহ বিভিন্ন এলাকায় চাঁদরাত উদযাপনের জন্য কনসার্টের আয়োজন করা হবে। ঈদকে ঘিরে মেহেদি উৎসবেরও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। চাঁদ রাতে এবং শেষ রোজায় অনেকেই হাতভরে মেহেদি লাগান। এবার নিউইয়র্কে ফিতরা ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৮ ডলার থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত। এক এক মসজিদে একেক রকম সর্বনিম্ন ফিতরার অংক নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকেই ফিতরা আদায় করেছেন। যারা এখনো ফিতরা দেননি, তাদেরকে ঈদের নামাজের আগে ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। বিভিন্ন মসজিদে নামাজের আগে ফিতরার অর্থ আদায় করার সুবিধা রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই শবে কদরের রাতে ফিতরার অর্থ দিয়েছেন। ঈদের দিন নামাজের আগ পর্যন্ত পরিশোধ করা যাবে।
সবাই আশা করছেন, এবারের ঈদ ঘরে ঘরে বয়ে আনবে অনাবিল আনন্দ। কারণ করোনার পর এবার স্বাভাবিক পরিবেশে ঈদ হচ্ছে। এদিকে গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে জুমাতুল বিদা। ওইদিন জুমার পর মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে।

নিউইয়র্কে ১৭ এপ্রিল দিবাগত রাতে লায়লাতুল কদর পালিত হয়। সেখানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যোগ দেন। লায়লা কদরের ফজিলত তুলে ধরে আলোচনা করা হয়। মুসলিম উম্মার শান্তি, সুখ, সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোজানাত করা হয়। বিভিন্ন মসজিদে ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মানুষ ব্যক্তিগতভাবে এবং ব্যবসায়ীরা অর্থ অনুদান দেন। নিউইয়র্কে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মসজিদের পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে ঈদের নামাজের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। যেসব স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে, সেসব স্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ঈদের দিন মুসলমানরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বিভিন্ন ঈদের জামাতে নিউইয়র্কের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। মুসলিম কমিউনিটি ও বিভিন্ন মসজিদের পক্ষ থেকে, নিউইয়র্ক স্টেটের ডেপুটি গভর্নর, মেয়র এরিক অ্যাডামস, জেনিফার রাজকুমার, জন লু, মিলিন্ডা ক্যাটস, গ্রেস মেং, অ্যালেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও, ক্যাটলিনা ক্রুসসহ বিভিন্ন নির্বাচিত প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জ্যামাইকা, জ্যাকসন হাইটস, কুইন্স ভিলেজ, হলিস, সাউথ জ্যামাইকা, ওজন পার্ক, রিচমন্ড হিল, পারসন্স, উডসাইড, এস্টোরিয়া, ব্রঙ্কস, ব্রুকলিন, ম্যানহাটনের বিভিন্ন মসজিদ এবং নিউইয়র্ক স্টেটের বিভিন্ন এলাকায় যেখানে মুসলিম কমিউনিটি ও মসজিদ আছে, সেখানে ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নিউইয়র্ক ছাড়াও নিউজার্সি, কানেক্টিকাটসহ বিভিন্ন স্টেটে যেখানে মুসলমানরা রয়েছেন, সেখানেও ঈদের জামাতের আয়োজন করা হবে।

কোথায়, কখন ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে : জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের উদ্যোগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে জ্যামাইকার টমাস এডিসন হাইস্কুলের মাঠে। সেখানে একটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল নয়টায়। ইতিমধ্যে সেখানে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করার জন্য কর্তৃপক্ষ অনুমোদনও পেয়েছে। জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আফতাব মান্নান বলেন, এখন আবহাওয়া ভালো। রোদ আছে, বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। এ জন্য আমরা টমাস এডিসনের মাঠেই ঈদের জামাতের আয়োজন করছি। এবার আমরা মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা রাখছি না। যারা নামাজ পড়তে আসবেন, তারা স্বাভাবিক সময়ের মতোই আসতে পারবেন। জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের পরিচালনা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম দেলায়ার বলেন, আমরা আশা করছি, অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে জামাতের আয়োজন করতে পারব। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। নিউইয়র্কের ডেপুটি গভর্ণর, এবং স্থানীয় হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ এরও থাকার কথা রয়েছে। আমরা আরো অনেকেকেই আমন্ত্রণ করেছি।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি এবারের ঈদের নামাজে প্রায় দশ হাজার মানুষ উপস্থিত থাকবেন। এবার করোনার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। ফলে করোনা পূর্ববর্তী সময়ের মতোই নামাজের স্থানে সবাই আসতে পারবেন। মাস্ক পড়তে হবে না। জায়নামাজ কেউ আনতে চাইলে আনতে পারবেন কিন্তু না আনলেও কোন সমস্যা নেই। তারা বলেন, নামাজের অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল সাড়ে আটটায়। যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে মসজিদে। সে ক্ষেত্রে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জামাতগুলো হবে সকাল ৮টা, ৯টা ও ১০টায়। এখানে পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুদের জন্যও নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। এস্টোরিয়ার আল আমিন জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে আটটায়। মসজিদ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করব। ২১ এপ্রিল অথবা ২২ এপ্রিল যেদিনই ঈদ হোক, নামাজের জামাতের আয়োজন করব। এস্টোরিয়ার ৩৬ স্ট্রিটে জামাত হবে। আবহাওয়া খারাপ হলে মসজিদের ভেতরে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল সাতটায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল আটটায় এবং তৃতীয় জামাত সকাল নয়টায় হবে। মহিলাদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৃতীয় জামাতে মহিলারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যারা নামাজ পড়তে যাবেন, তারা সাথে জায়নামাজ নিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, আশা করছি খোলা স্থানেই ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করতে পারব। আল আরাফা ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগের জ্যামাইকার সুজান বি এন্থনীর মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এই ঈদের জামাত হবে সেখানকার প্লে গ্রাউন্ডের মাঠে। নামাজ হবে সকাল নয়টায়। প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ সেখানে অংশ নিবেন বলে আশা করছেন এর পরিচালনা পরিষদের সেক্রেটারী খন্দকার তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা এবার করোনামুক্ত পরিবেশে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করছি। এই জন্য করোনা সংক্রান্ত কোন বিধি নিষেধ নেই। খোলা জায়গায় প্লেগ্রাউন্ডে সকাল নয়টা জামাত হবে একটি। এই জন্য সব প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। তবে কোন কারণে বৃষ্টি হলে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে মসজিদে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করার। সেই ক্ষেত্রে প্রথম জামাত সকাল সাতটা, দ্বিতীয় জামাত সকাল আটটা, তৃতীয় জামাত সকাল নয়টা এবং চতুর্থ জামাত সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, জামাতে যেসব শিশুরা আসবে তাদের জন্য থাকবে কটন ক্যান্ডি, বেলুন। ১৪৮ স্ট্রিটে দারুস সালাম মসজিদের উদ্যোগের মসজিদের নিজস্ব ভবনে চারটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তারা করোনামুক্ত পরিবেশে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করেছেন। এই জন্য করোনা সংক্রান্ত কোন বিধি নিষেধ নেই। মসজিদে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে সাতটায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে আটটায়, তৃতীয় জামাত সকাল সাড়ে নয়টায় এবং চতুর্থ জামাত সকাল সাড়ে ১০ টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত ছাড়া অন্যান্য সব জামাতে মহিলাদের নামাজের ব্যবস্থা থাকবে।

জ্যাকসন হাইটসে ডাইভারসিটি প্লাজায় নিউইয়র্ক ঈদগাহর উদ্যোগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে ছয়টি। সকাল সাতটা থেকে জামাত শুরু হবে। এরপর প্রতি এক ঘণ্টা পরপর ঈদের জামাত হবে। বৃষ্টি হলে কাবাব কিংয়ের দোতলায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পরপর ছয়টি জামাতের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান মাওলানা কাজী কাইয়্যূম। তিনি বলেন, আমরা প্রতিবছর ডাইভারসিটি প্লাজায় ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করে থাকি। এবারও করছি। নামাজের জন্য ইতিমধ্যে অনুমতিও নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আবহাওয়া ভালো থাকবে। সেই হিসেবে ডাইভারসিটি প্লাজায়ই নামাজ হবে। ঈদের নামাজে অংশ নিতে কমিউনিটির সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে যারা জামাতে অংশ নিবেন তাদের জন্য ওমরাহ হজের ৩৫০০ ডলারের প্যাকেজের উপহার থাকবে। পাঁচটি নামাজের জামাতের পর এই পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। ওজনপার্কের আল ফরুকান মসজিদে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৭৭ এ্যান্ড গ্ল্যানেমার এভিনিউ, ওজনপার্কে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত হবে সকাল আটটায় আর দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল নয়টায়। সেখানকার পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বদরুল হোসেন খান বলেন, আমরা এবার করোনামুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপন করব। এক একটি জামাতে আশা করছি ১৫০০ থেকে দুই হাজার মানুষ অংশ নিবেন। আমরা এর পাশাপাশি কোন কারণে বৃষ্টি হলে মসজিদে নামাজের ব্যবস্থা রেখেছি। বৃষ্টি হলে চারটি জামাত হবে। প্রথম জামাত সকাল আটটা, দ্বিতীয় জামাত সাড়ে আটটা, তৃতীয় জামাত সকাল নয়টা, চতুর্থ জামাত সকাল সাড়ে নয়টায়। আমরা সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি সেই সাথে নামাজে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

আল কুবা ইসলামিক সেন্টার অব জ্যামাইকার উদ্যোগে সাউথ জ্যামাইকার পিএস ৫০ স্কুলের মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রায় এক হাজার মানুষের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে এবার তৃতীয়বারের মতো জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল আটটায় একটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বৃষ্টি হলে ঈদের জামাত হবে তিনটি। সে ক্ষেত্রে প্রথম জামাত হবে সকাল সাড়ে সাতটায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল সোয়া আটটায় এবং তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সোয়া নয়টায়। এর সাথে সম্পৃক্ত কমিউনিটি লিডার এবং কমিউনিটি বোর্ড ১২ এর এরিয়া চেয়ার মোহাম্মদ আলী বলেন, এবার তৃতীয়বারের মতো এখানে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করছি। আশা করছি, কমপক্ষে একহাজার মানুষ জামাতে উপস্থিত হয়ে নামাজ পড়বেন। রিয়াজুল জান্নাহ ইসলামিক সেন্টার ইনকের উদ্যোগে জ্যামাইকার মারকোনি পার্কে পিএস-৪৮-এ সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এটি ১৫৭ স্ট্রিট এবং ১০৮ অ্যাভিনিউ। সকল মুসলমানকে নামাজ আদায় করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ঈদের জামাত পরিচালনা করবেন রিয়াজুল জান্নাহ জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. শফিকুল ইসলাম। মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নামাজে মুসল্লিদের নিজস্ব জায়নামাজ নিয়ে যেতে হবে। যদি কারো চেয়ার লাগে, তাকে চেয়ার নিয়ে যেতে হবে। ফেস মাস্ক পরতে হবে। বৃষ্টি হলে মসজিদের ভেতরে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। একটি জামাত হবে সকাল সাড়ে সাতটায়, অন্যটি সকাল সাড়ে আটটায়। পুরুষদের জন্য গেট নম্বর ১, ১০৮ অ্যাভিনিউ ১৫৬/১৫৭ স্ট্রিট এবং মহিলাদের জন্য গেট নম্বর ২ ও ৩, গেট ৩ স্কুলের পাশে। ইস্ট এলমহার্স্টে ইস্ট এলমহার্স্ট জামে মসজিদ এ্যান্ড মুসলিম সেন্টারের উদ্যোগে পিএস ১২৭ এর মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। একটি জামাতের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল নয়টা। বৃষ্টি হলে প্রস্তুতি হিসাবে মসজিদের ভেতরে দুটি ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই হিসাবে প্রথম জামাত হবে সকাল আটটা ও দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল নয়টায়। সেখানকার পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সৈয়দ আবু লেইস বলেন, আমরা বড় পরিসরে ঈদের নামাজের আয়োজন করছি। আশা করছি আমাদের এখানকার স্থানীয়রা আসবেন এবং এর আশেপাশের এলাকা থেকেও মুসল্লিরা ঈদের নামাজে শরিক হবে।
ব্রুকলিনে বায়তুল জান্না জামে মসজিদ অ্যান্ড মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারের উদ্যোগে ব্রুকলিনের ৫৬৯ মাকডোনাল্ড অ্যাভিনিউ সিটিতে খোলা রাস্তায় ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃষ্টি না হলে সেখানে ঈদের জামাত হবে একটি। এটি হতে পারে সকাল নয়টায়। বৃষ্টি হলে ঈদের জামাত হবে পরপর ছয়টি। এ ক্ষেত্রে নামাজ শুরু হবে সকাল সাড়ে ছয়টায়। প্রতি আধঘণ্টা পরপর ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান সেখানকার পরিচালনা পরিষদের নেতা মো.দিদারুল আলম। তিনি বলেন, আমরা প্রতিবছরই এখানে নামাজের ব্যবস্থা করি। পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ ঈদের নামাজে শরিক হবেন বলে আমরা আশা করছি। জামাতে ইমামতি করবেন আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত হাফেজ নাজমুস সাকী।

ব্রঙ্কসে বাংলাবাজার জামে মসজিদের উদ্যোগে খোলা আকাশের নিচে ঈদুল ফিতরের বিশাল জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এটি হবে পিএস ১০৬ স্কুলের প্লে গ্রাউন্ডে। নামাজের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল সাড়ে আটটায়। যারা নামাজ পড়তে আসবেন, তাদের জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে। মহিলাদের জন্য ঈদের জামাতের ব্যবস্থা রয়েছে। বৃষ্টি হলে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে তিনটি। সেই ক্ষেত্রে জামাত হবে সকাল আটটা, পৌনে নয়টা এবং সোয়া নয়টায়।
উডসাইডের বায়তুল জান্না জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে দুটি। ৬২ স্ট্রিট এর খোলা রাস্তায় বিশেষ ব্যবস্থায় ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। একটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল আটটায় পরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল নয়টায়।
ওজন পার্কের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে আল আমান মসজিদে। সেখানেও বিপুল সংখ্যক মানুষ জামাতে অংশ নিবেন। বলে আশা করা হচ্ছে, এছাড়াও ওজনপার্কের ফুলতলী জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। নিউইয়র্কে বেশিরভাগ মসজিদে চলতি বছরে সকাল আটটা থেকে সকাল নয়টায় জামাতের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। কিছু কিছু মসিজেদ সকাল সাতটায় প্রথম জামাত এর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সব প্র্রস্তুতি রয়েছে ঈদের নামাজ মসজিদের ভেতরে করার। সেই ক্ষেত্রে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

জ্যাকসন হাইটসে আলনূর ইসলামিক সেন্টার, আল নূর ইসলমিক সেন্টার শরীয়া বোর্ড নিউইয়ক, নর্থ ব্রঙ্কস ইসলামিক সেন্টার, পার্কচেস্টার জামে মসজিদ, বাংলা বাজার জামে মসজিদ, বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার, মোহাম্মদী সেন্টার, দারুস সালাম, দারুল উলম, ইকনা মসজিদের উদ্যোগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।